Advertisement

আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের প্রতিকার আবিষ্কার, চিকিৎসায় নোবেল পেলেন মেরি ব্রুনকো, ফ্রেড র‍্যামসডেল, শিমন সাকাগুচি

প্রতিদিন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হাজার হাজার আক্রমণকারী জীবাণু থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু অনেক জীবাণু শনাক্ত যাতে না হয় তার জন্য মানুষের কোষের অনুকরণ করে, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য হুমকি জীবাণু এবং শরীরের নিজস্ব টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন মেরি ব্রুনকো, ফ্রেড র‍্যামসডেল, শিমন সাকাগুচিচিকিৎসায় নোবেল পেলেন মেরি ব্রুনকো, ফ্রেড র‍্যামসডেল, শিমন সাকাগুচি
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 06 Oct 2025,
  • अपडेटेड 3:48 PM IST
  • গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ভিক্টর অ্যাম্ব্রস ও গ্যারি রাভকুন
  • চিকিৎসা শাস্ত্রের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়েই এবারের নোবেল পর্ব শুরু হল

২০২৫ সালের ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ই. ব্রুনকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড র‍্যামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি। এই পুরস্কারে তাঁরা ভূষিত হলেন যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য। সেটা হল পেরিফেরাল ইমিউনো টলারেন্স। গোদা বাংলায় দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন করে নিজের অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতি না করে জীবাণু থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়। এই আবিষ্কার শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে বিপ্লব এনে দিয়েছে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং লুপাসের মতো অটোইমিউন রোগের চিকিৎসার পথ খুলে দিয়েছে।

প্রতিদিন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হাজার হাজার আক্রমণকারী জীবাণু থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু অনেক জীবাণু শনাক্ত যাতে না হয় তার জন্য মানুষের কোষের অনুকরণ করে, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য হুমকি জীবাণু এবং শরীরের নিজস্ব টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিন নোবেলজয়ীর কাজ সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। পেরিফেরাল টলারেন্সের পিছনের প্রক্রিয়াটা ঠিক কী? তার উত্তর দিয়েছে।

শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রহস্য

আরও পড়ুন

আমাদের দেহ সর্বদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাহায্যে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু কখনও কখনও এই ব্যবস্থা ভুল করে নিজের অঙ্গগুলিকে আক্রমণ করে, যাকে অটোইমিউন রোগ বলা হয়। পূর্বে, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন যে রোগ প্রতিরোধ কোষ (জীবাণু-প্রতিরোধী কোষ) শরীরের মধ্যে সহনশীল হয়ে ওঠে, যাকে সেন্ট্রাল ইমিউনো টলারেন্স বলা হয়। ১৯৯৫ সালে শিমন সাকাগুচি এই ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। তাঁর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জটিল। তিনি সম্পূর্ণ নতুন ধরণের রোগ প্রতিরোধক কোষ নিয়ন্ত্রক টি কোষ শনাক্ত করেন, যা শরীরকে অটোইমিউন ব্যাধি থেকে রক্ষা করে।

২০০১ সালে মেরি ব্রুনকো এবং ফ্রেড র‍্যামসডেল জেনেটিক গবেষণার মাধ্যমে এই ক্ষেত্রটিকে এগিয়ে নিয়ে যান। অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত ইঁদুরের একটি প্রজাতির উপর গবেষণা করার সময় তাঁরা Foxp3 নামক একটি জিনে একটি মিউটেশন আবিষ্কার করেন। এই মিউটেশন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণকে অক্ষম করে দেয়, যার ফলে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দেয়। গুরুত্বপূর্ণভাবে, তাঁরা নিশ্চিত করেছেন যে Foxp3 এর সমতুল্য মানুষের মধ্যে মিউটেশন IPEX সিন্ড্রোম নামে পরিচিত একটি বিরল কিন্তু গুরুতর অটোইমিউন অবস্থার কারণ হয়।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement