বুলডোজার মডেল থেকে গোটা দেশে আইনের শাসন নিয়ে চর্চিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের লাউড স্পিকার হঠাও মডেল এখন আরও একবার শিরোনামে চলে এসেছে। যার পরে গোটা রাজ্যে প্রশাসন স্পিকার খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজের অফিসারদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যে, মন্দিরে আরতি হোক বা আজান। ধার্মিক জায়গা থেকে লাউড স্পিকার যদি নিয়ম ভাঙে তাহলে সব খুলে দেওয়া হবে।
তা সে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে মন্দির হোক বা মসজিদ, লাউড স্পিকার খুলে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া কানপুরে এক নয় একাধিক মসজিদ থেকে লাউড স্পিকার খুলে দেওয়া হয়েছে। যা আইন ভাঙছিল বলে খবর। সেখানে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে পৌনে ঘন্টার দূরত্বে থাকা বরাবাঁকির মসজিদের মিনার থেকে লাউড স্পিকার খুলে ফেলা হচ্ছে। এই মসজিদ থেকে লাগাতার জোরে আজান চালানো হতো। পুলিশকর্মীরা উত্তরপ্রদেশে মসজিদ থেকে মাইক খুলে এখন নীচে জড়ো করছে।
আলাদা আলাদা শহরে অ্যাকশন মোডে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। ফতেপুরের মন্দিরের শীর্ষ স্তম্ভ থেকে ইউপি পুলিশ নিজেরা লাউড স্পিকার খুলে ফেলছে। মন্দিরের সঙ্গে মসজিদ থেকেও লাউড স্পিকার খোলা হচ্ছে। যা নিয়ম ভেঙে বানানো হচ্ছিল। ফিরোজাবাদে পুলিশ প্রথমে আইন বোঝায়। তারপর মসজিদ কমিটি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে তাদের নিজেদেরই চড়িয়ে লাউড স্পিকার খোলানো হয়। এগুলি খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কোশাম্বিতে ইউপি পুলিশ পৌঁছানোর পর মন্দির থেকে লাউড স্পিকার নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়।
কেন উত্তরপ্রদেশের সব জায়গা থেকে লাউড স্পিকার খোলা হচ্ছে?
আচমকা সোমবার পুলিশ অ্যাকশন শুরু করে দিয়েছে। লাউড স্পিকার সরানোর হঠাৎ মন্দির-মসজিদ থেকে লাউড স্পিকার সরানোর জন্য পুলিশ এত সক্রিয় কেন? আসলে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বৈঠক করেন। আইনি ব্যবস্থা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন। এখানে নানা বিষয়ের সঙ্গে নিয়ম ভেঙে বিভিন্ন জায়গায় লাউড স্পিকার বাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আসে। তিনি তারপরই কড়া নির্দেশ দেন। মন্দির-মসজিদ সমস্ত জায়গা থেকে লাউড স্পিকার নামিয়ে ফেলতে হবে।