Odisha Train Accident Eye Witness Statement: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) স্তম্ভিত গোটা দেশ। অভিশপ্ত ২-রা জুনের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা রাতারাতি কেড়ে নিল ২৮৮ জনের প্রাণ। প্রায় ১,১০০ যাত্রী মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় আহত। কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? উত্তরের অপেক্ষায় গোটা দেশ। যদিও রেল বোর্ড এর পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছ সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত শুরুও করেছে। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিটার দূরে বসবাসকারী এক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তির (Eye Witness) বিস্ফোরক বয়ান সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আজ তকের সঙ্গে ওই প্রত্যক্ষদর্শী কথা বলেন এবং ঘটনার দিনের কথা জানান। প্রকৃতপক্ষে, ২৫ বছর বয়সী যুবক সৌভাগ্য রঞ্জন সারঙ্গী তিনি পেশায় ওষুধের দোকানের মালিক। তাঁর দাবি, দুর্ঘটনার সময় রেল ক্রসিংয়ে মেরামতির কাজ চলছিল। ট্র্যাকে কমপক্ষে ১০-১৫ জন গেটম্যান ছিল।
গত দু'মাস ধরে নির্মাণকাজ চলছিল
ওই যুবক আরও জানান, গত দু'মাস ধরে কাজ চলছিল। গেটম্যানের ঘরে নির্মাণকাজ হচ্ছিল। তাঁর আরও দাবি, দুর্ঘটনার দিন রেলক্রসিংয়ের কাজও চলছিল।
ট্র্যাক প্রশস্তিকরণের কাজ চলছিল
তিনি আরও জানান, "আমি দোকান বন্ধ করার পর যখন যাই তখনই দেখি সেখানে নির্মাণ কাজ চলছে। গত দু'মাস ধরে ট্র্যাক প্রশস্ত করার কাজ চলছে।"
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় তিনটি ট্রেনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস (12864), করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির সংঘর্ষে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি। দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন প্রাণ হারান। আহত হন ১ হাজারের বেশি মানুষ।
সেদিন কীভাবে ঘটল ট্রেন দুর্ঘটনা?
হাওড়া স্টেশন এবং তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের মধ্যে চলে এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ৭টি বগি সম্পূর্ণ উল্টে যায়।
এদিকে বোর্ড জানায়, লোকো পাইলট ও সহকারী চালক সিগনাল যেমন পেয়েছে তেমনই কাজ করেছে। সিগন্যালে কোনও ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক জানান, সবুজ সংকেত দেখেই সামনের পথে এগিয়েছিলেন তিনি। তবে এতগুলো মানুষের প্রাণহানির পিছনে কা বা কাদের হাত? কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি কি? প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানাই।