পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চান না বলে জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। আজ জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বিশেষ অধিবেশন বসে বিধানসভায়। সেখানেই ওমর বলেন, এই হামলায় তিনি শোকাহত। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই। অতীতে কাশ্মীরি হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়েছে। শিখরাও আক্রান্ত হয়েছে। তার অনেকদিন পর এমন ন্যক্কারজনক হামলা হল।
ওমর আবদুল্লার কথায়, 'আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনও ভাষা নেই। অতীতে আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিত ও শিখ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেখেছি। তবে পহেলগাঁওয়ের মতো হামলা অনেকদিন পরে হয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নেই। কিন্তু পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।'
ওমর আবদুল্লা তাঁর ভাষণে বলেন, 'কয়েকদিন আগে এই হাউসে আমরা বাজেট এবং অন্য অনেক বিষয়ে কথা বলেছিলাম। আলোচনা হয়েছিল। কে ভেবেছিল যে জম্মু ও কাশ্মীরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে? কিছুদিন আগে বিয়ে করা একজন নৌসেনার কর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী-র কাছে কীভাবে মুখ দেখাব? তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার কাছে নেই। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রশ্ন করেছেন, কেন এই হামলা, কেন হত্যা করা হল? আমি তাঁদের কোনও উত্তর দিতে পারিনি।'
তবে কাশ্মীরিরা এই হামলা চায় না, তা সাফ করে দিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন। তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '২৬ বছরের মধ্যে প্রথমবার সাধারণ মানুষকে এভাবে প্রতিবাদ করতে দেখেছি। তারা প্রকাশ্যে জানিয়েছে, এই জঙ্গিবাদ চায় না।'
নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ওমর আবদুল্লা আরও বলেন, 'পহেলগাঁওয়ের ২৬ জন মানুষের কষ্ট দেশের কোনও বিধানসভার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। কেউ সন্তানকে হারিয়েছে, কেউ তাঁর বাবাকে। ২০০১ সালের অক্টোবরে শ্রীনগরে হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই একই যন্ত্রণা এবারও দেশবাসীকে সহ্য করতে হচ্ছে।'
কাশ্মীরের মানুষ জঙ্গিদের বিপক্ষে। তারা বুঝেছে, পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে শান্তি দরকার। তবেই রুজিরুটি বাঁচবে। একথা উল্লেখ করে ওমর আবদুল্লা বলেন, ' আমি মনে করি কাশ্মীারের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। মসজিদেও নীরবতা পালন হয়েছে। এটা খুব ইঙ্গিতপূর্ণ।'