Advertisement

Operation Sindoor: ২৬-এর পাল্টা ৯০! পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি নিধন ভারতের

পাকিস্তানের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ভারত। মধ্যরাতের এয়ার স্ট্রাইকে খতম প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন জঙ্গি। পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাতে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে একের পর এক জঙ্গি ডেরা। রাফাল বিমান থেকে মিসাইল চার্জ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঘাঁটিগুলি।

Operation Sindoor Operation Sindoor
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 07 May 2025,
  • अपडेटेड 8:20 AM IST
  • ৯০ জন জঙ্গি নিকেশ
  • পাকিস্তানের মাটিতে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস
  • পহেলগাঁও হামলার জবাব

পহেলগাঁওতে নৃশংস হামলায় ২৬ জন জঙ্গিকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা। তার বদলা নিল ভারত। মধ্যরাতে অতর্কিতে পাকিস্তানের মাটিতে এয়ার স্ট্রাইক করে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়ে যোগ্য প্রত্যাঘাত ভারতের। 

ক্রস বর্ডার এই অ্যাকশনে ভারত ধুলিস্যাৎ করেছে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি। 

উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, জইশের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাহাওয়ালপুর এবং মুরদিকে দু'টি বড় এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। এক একটি ঘাঁটিতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন জঙ্গি নিধন হয়েছে। মুরদিকে ভারতের নিশানা ছিল মসজিদ ওয়া মার্কাজ তৈবা। যা লস্করের নার্ভ সেন্টার হিসেবে পরিচিত। এটিই তাদের হেডকোয়ার্টার। পাকিস্তানের টেরর নার্সারি বলা হত এই হেডকোয়ার্টারকে। এ ছাড়াও লঞ্চ প্যাড, ট্রেনিং ক্যাম্প এবং জঙ্গিদের রেডিক্যাল সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। রাষ্ট্রসঙ্ঘ চিহ্নিত করা লস্কর এবং জইশ জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটিগুলিতেই হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। হামলা সম্পন্ন করে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে লেখা হয়, 'জাস্টিস ইস সার্ভড'। 

ইন্টালিজেন্স এজেন্সি এখনও মোট নিকেশ হওয়া জঙ্গির সংখ্যা খতিয়ে দেখছে। 

প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, ভারতীয় বিমান বাহিনী খুব সুনির্দিষ্টভাবে এবং সতর্কতার সাথে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পিআইবি জানিয়েছে যে 'অপারেশন সিন্দুর' অত্যন্ত কৌশলগতভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপের উপযুক্ত জবাব দেওয়া যায়। ই অভিযানের সময়, পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। যাতে নিশ্চিত করা যায় যে এই অভিযানের আসল উদ্দেশ্য সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা এবং প্রতিবেশী দেশের সাথে সংঘাত বৃদ্ধি না করা। ভারতের প্রায় ৩০০টি স্থানে অনুষ্ঠিত মক ড্রিলের অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর এই হামলা চালানো হয়েছিল।

 

এদিকে, ভারতের বিমান হামলায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন শুরু করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে পাকিস্তান পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বর গলিতে কামান নিক্ষেপ করে আবারও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যার যথাযথ জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement