মঙ্গলবার রাত ১.০৫ থেকে ১.৩০ মিনিট। ২৫ মিনিটেই জঙ্গিদের খেল খতম করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। মধ্যরাতের এয়ার স্ট্রাইকে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে জঙ্গিদের ক্যাম্প, ট্রেনিং সেন্টার। এভাবেই পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত। বুধবার সকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনার দুই মহিলা আধিরক ব্যাখ্যা করলেন কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর'।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, '২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা শহিদদের ন্যায়বিচারের জন্যই অপারেশন সিঁদুর।' এই অভিযানে ৯টি জঙ্গি আস্তানা টার্গেট করা হয়েছিল বলে জানান তাঁরা। এরপর এক এক করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেগুলি।
কোন কোন ঘাঁটি ধুলিসাৎ?
বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদরঘাঁটি, মুরিদকে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, কোটলিতে আত্মঘাতী জঙ্গি ও অনুপ্রবেশ প্রশিক্ষণকেন্দ্র, গুলপুরে রাজৌরি ও পুঞ্চে হামলার লঞ্চপ্যাড, সাওয়াইতে কাশ্মীর উপত্যকার হামলার সঙ্গে যুক্ত ঘাঁটি, সারজালে অনুপ্রবেশ পথ, বারনালায় অনুপ্রবেশ পথ, মেহমুনা, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, মুজাফফরাবাদে লস্কর ও জইশের ক্যাম্প এবং মুজাফফরাবাদের শাওয়াই নাল্লা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ধুলিসাৎ করেছে ভারত।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানালেন কী ভাবে পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, '২৫ মিনিটে পাকিস্তানে মোট ন’টি ঘাঁটিকে নিশানা করা হয়েছে। সেগুলিকে পুরো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাক সেনাঘাঁটি বা সাধারণ কোনও নাগরিককে নিশানা করা হয়নি। বায়ুসেনার মহিলা আধিকারিকরা বলেন, 'কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি করা হয়নি। নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বিল্ডিংয়ে হামলা হয়েছে। সেনাঘাঁটিতে কোনও হামলা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে ওই ভবনগুলি ভাঙা হয়েছে।'