India Pakistan Seasefire: ২ মে অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আইএসআই চিফ আসিম মালিক ভারতীয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্য়াডভাইসর অজিত ডোভালের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে গত ৩ দিনের লাগাতার ভারতের আক্রমণের পরে পাকিস্তানি নিরাপত্তাকে একেবারে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অজিত ডোভাল এবং এস জয়শঙ্করকে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, যে ভারত নিজেদের শর্তে যুদ্ধবিরতি পালন করবে।
এর আগেই দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।' ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ১০ মে শনিবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে সংঘর্ষবিরতি।
২০২৫ সালের ২ মে, ভারতীয় সেনাবাহিনী “অপারেশন সিন্ধুর” মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে। এই অভিযানে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হানা দেওয়া হয়। এর জবাবে পাকিস্তান “অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস” চালু করে। এই অভিযানে পাকিস্তান ২৫টি ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। সংঘর্ষে দুই পক্ষেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতের NSA অজিত ডোভাল ও পাকিস্তানের NSA লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকের মধ্যে NSA পর্যায়ে গোপন আলোচনা শুরু হয়। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসাক দার নিশ্চিত করেন, তাদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
এই আলোচনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও তুরস্ক এই আলোচনা সফল করতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানান, উভয় দেশ স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান কঠোর এবং দৃঢ় থাকবে। এই যুদ্ধবিরতি ১০ মে, ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে। যদিও সেনাবাহিনী সতর্ক রয়েছে।