জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জিপলাইন অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আজ তক-কে প্রত্যক্ষদর্শী ঋষি ভাটের দেওয়া বিবৃতির পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেখানে তিনি অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি করেন। ঋষি দাবি করেন, গুলির শব্দ শোনার পর, অপারেটর 'আল্লাহ'-র নাম নিচ্ছিলেন। তারপর তাঁকে জিপলাইনে এগিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এনআইএ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এখন এই বিষয়ে অপারেটরকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
আজ তকের সঙ্গে কথোপকথনের সময় ঋষি ভাট কী বলেন?
আজ তকের সঙ্গে কথোপকথনের সময়, ঋষি ভাট বলেছিলেন যে সন্ত্রাসবাদী হামলা সম্পর্কে তার কোনও ধারণা ছিল না। সে মজা করার জন্য একটি ভিডিও বানাচ্ছিল, তারপর হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পান। বেলা আড়াইটের দিকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
ঋষি ভাট বলেন, "আমি দেখেছি ৪ থেকে ৫ জন সন্ত্রাসবাদী ধর্ম জিজ্ঞাসা করে পর্যটকদের গুলি করছে। আমি যখন জিপলাইনে ছিলাম, তখন জিপলাইন অপারেটর প্রথমে স্বাভাবিক আচরণ করছিল। তবে, নীচ থেকে গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তিনবার আল্লাহ হু আকবর বলে বলেন প্যায়ার খোলিয়ে।" এরপরই তিনি এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে যান। নীচে অপেক্ষায় ছিলেন ঋষির স্ত্রী, সন্তান। তাঁর ভিডিওতে দেখা যায় নীচে একের পর এক মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। জিপলাইন অপারেটর জেনে বুঝেই 'আল্লাহ হু আকবর' বলে পর্যটককে এগিয়ে দিলেন? তিনি কি সবটাই জানতেন? নাকি আকস্মিক গুলি চলার আওয়াজ শুনে তিনিও ঘটনাটি কী ঘটছে বোঝার চেষ্টা করছিলেন? গুলির আওয়াজ শুনে কিছু একটা অঘটন ঘটছে আঁচ করছিলেন?
পহেলগাঁও আক্রমণের সর্বশেষ আপডেট কী?
পহেলগাঁও হামলার পর, ভারত কী পদক্ষেপ নেবে তা নিয়ে পাকিস্তানে উদ্বেগ রয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর কাছ থেকে সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্য নেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফালে সামুদ্রিক বিমানের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নৌবাহিনী আরব সাগরে আইএনএস বিক্রান্ত মোতায়েন করেছে।
একই সঙ্গে, পাকিস্তানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সমালোচনা করা হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যুদ্ধ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। তুরস্কও পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানোর দাবি অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লঞ্চ প্যাড থেকে সন্ত্রাসীদের সরিয়ে সেনাবাহিনীর আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে রাখার অভিযোগও রয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার পর ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার ভারতের পদক্ষেপ পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়িয়েছে, কারণ তারা সিন্ধু এবং তার পশ্চিম উপনদী ঝিলাম এবং চেনাবের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। এই চুক্তির অধীনে, পাকিস্তান এই পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির (সিন্ধু, ঝিলাম, চেনাব) নিয়ন্ত্রণ পায়, যেখানে ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলির (রাবি, বিয়াস, শতদ্রু) উপর অধিকার পায়। ভারত এখন পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে বাঁধ এবং প্রকল্পের মাধ্যমে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যে কারণে পাকিস্তান তীব্র জল সংকট এবং খরার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।