Advertisement

Pahalgam terror attack: ৩৫ বছরে প্রথমবার গোটা কাশ্মীর বনধ্, শাহ-ওমরকে ফোন করলেন রাহুলও

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। মঙ্গলবার বৈসর এলাকায় এই নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। ঘটনার পরপরই জাতীয় স্তরে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং রাজনৈতিক সহমত ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক।

অমিত শাহকে ফোন রাহুলের।-গ্রাফিক অমিত শাহকে ফোন রাহুলের।-গ্রাফিক
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 23 Apr 2025,
  • अपडेटेड 10:47 AM IST
  • কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় গোটা দেশ স্তম্ভিত।
  • মঙ্গলবার বৈসর এলাকায় এই নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন।

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। মঙ্গলবার বৈসর এলাকায় এই নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। ঘটনার পরপরই জাতীয় স্তরে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং রাজনৈতিক সহমত ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি বৈঠকে বসেন আইবি, স্বরাষ্ট্রসচিব, মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপির সঙ্গে। শাহ ইতিমধ্যে শ্রীনগরে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আরব সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরে এসেছেন।

এদিকে, বিরোধী দলের নেতারাও এই ঘটনাকে ‘জঘন্য ও কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় সবরকম সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

কাশ্মীর উপত্যকায় ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বুধবার সর্বাত্মক বন্ধ পালিত হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর, বিভিন্ন সংগঠন এই বন্ধের ডাক দেয় এবং তা সর্বস্তরে সমর্থন পায়। শ্রীনগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দোকান, জ্বালানি স্টেশন ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা ছিল। গণপরিবহন কম দেখা গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করেছে। বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও সরকারি স্কুল খোলা ছিল। উপত্যকার পর্যটন এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রাহুল গান্ধীর বার্তা: 'আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে'
রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় (X) একটি পোস্টে জানান, তিনি অমিত শাহ, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং কংগ্রেস নেতা তারিক কারার সঙ্গে এই জঙ্গি হামলা নিয়ে কথা বলেছেন। রাহুল জানিয়েছেন, 'আমি সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনেছি। নিহতদের পরিবার যেন ন্যায়বিচার পায়— এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।'

একইভাবে, কংগ্রেস সভাপতি খাড়গেও ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “এই হামলার দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি।”

Advertisement

কাশ্মীরে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
রাহুল গান্ধী স্পষ্টভাবে বলেন, এই দুঃসময়ে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেন দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পাশাপাশি, কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে যেকোনও রাজনৈতিক মতবিরোধ ভুলে গিয়ে সব পক্ষের উচিত একযোগে কাজ করা।

ইমরান মাসুদের কড়া বার্তা: ‘জঙ্গিদের প্রতি কোনও নমনীয়তা নয়’
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বলেন, “সরকারের উচিত জঙ্গিদের বলপ্রয়োগে দমন করা। কোনও নমনীয়তা বা আপসের প্রশ্নই ওঠে না।” তিনি জানান, “তিন দিন আগে আমি কাশ্মীরে ছিলাম। সেখানে রাতেও মানুষ নিরাপদে ঘুরছিলেন, পর্যটনে উৎসাহ ছিল প্রবল। সেই শান্ত পরিস্থিতি রাতারাতি ধ্বংস হয়ে গেল।”

কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া এই জঘন্য হামলা শুধু মানবিক দিক থেকে নয়, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক থেকেও ভারতের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতারাও এই হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার বার্তা দিয়েছেন। এখন দেখার, কত দ্রুত এই জঙ্গিদের শিকড় খুঁজে উপড়ে ফেলা যায় এবং ভুক্তভোগী পরিবারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement