ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিশোধে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। তারই প্রেক্ষিতে সালামাবাদ এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উঠে এসেছে। গ্রামবাসীদের মতে, পাকিস্তানি বাহিনীর এআই বন্দুক ও আর্টিলারি হামলায় বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, যদিও সৌভাগ্যক্রমে হতাহতের কোনও খবর নেই।
গত ১৩ দিন ধরে পাকিস্তান একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারত যখন জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়, তখন থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতীয় বিমান ও সেনাবাহিনীর নির্ভুল হামলায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কাঠামো ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলিতে কামান হামলা শুরু করে।
সালামাবাদে, আগুনে একাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ভাঙা বাসন, মগ, ছিন্নভিন্ন আসবাব—সবই সেই হামলার নীরব সাক্ষী। এখনও কিছু বাড়িতে ধোঁয়া উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত, তবে তাঁরা সেনাবাহিনীর পাশে আছেন এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ভারতীয় পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন।
সেখানকার এক বাসিন্দা বলেন, “রাতের অন্ধকারে হঠাৎ গোলাবর্ষণ শুরু হয়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়ি জ্বলতে শুরু করে।” সালামাবাদের উপরের এলাকাতেও এমন বিস্তৃত ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে।
বর্তমানে পাকিস্তান ছোট অস্ত্রের পাশাপাশি ভারী কামানও ব্যবহার করছে, যার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে অবস্থা আরও খারাপের দিকে। ভারত উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
সীমান্তের এই অনিশ্চিত পরিস্থিতির মাঝে, নিরীহ গ্রামবাসীদের জীবনে নেমে এসেছে এক নতুন দুঃস্বপ্নের ছায়া। তবে তাঁরা আশাবাদী যে, ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী তাঁদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে চিত্র সাংবাদিক নাসির আজিজ খানের সঙ্গে শিবানী শর্মা।