একবার নয়, সংঘর্ষবিরতি চেয়ে দু'বার ভারতকে যোগাযোগ করেছিল পাকিস্তান। কার্যত হাতেপায়ে ধরে তারা। সূত্র মারফত এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর আঘাতে ততক্ষণে মাজা ভেঙে গিয়েছিল পড়শি দেশের। আগামীতে ভারতের প্রত্যাঘাতে আরও ক্ষতির আশঙ্কা অনুমান করতে পেরে তড়িঘড়ি সংঘর্ষ থামার অনুরোধ করেছিল ভারতের কাছে।
জানা গিয়েছে, গত ৭ মে সন্ধ্যায় প্রথমবার সংঘর্ষ থামানোর অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান। ভারতের DGMO (ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন)-র সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন পাকিস্তানি কাউন্টারপার্ট। এরও বেশ কয়েকদিন পর আনুষ্ঠানিক ভাবে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ।
উল্লেখ্য, 'অপারেশন সিঁদুর'-এ পাকিস্তানের নিহতের সংখ্যা ১৬০। এমনটাও জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। ক্রস বর্ডার ফায়ারে পাকিস্তানি সেনা, জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাহওয়ালপুরেই নিকেশ হয় ২০ জন। ভারতের দাবি, ৩৫ থেকে ৪০ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর'-এ। তবে ইসলামাবাদের দাবি, মৃতের সংখ্যা ১১। আহত ৭৮।
ইসলামাবাদের অভিসন্ধি নিয়ে সন্দেহ রয়েই গিয়েছে। কারণ একদিকে সংঘর্ষবিরতি চাইলেও অন্যদিকে লাগাতার সীমান্তে হামলা চালাচ্ছিল পড়শি দেশ। ভারতের সেনাঘাঁটিগুলি টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকী, স্কুল, ধর্মস্থানেও আঘাতের চেষ্টা করা হয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে-সহ গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি আস্তানাগুলিকেও টার্গেট করা হয়েছিল, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান ছোট ড্রোন এবং ইউএভি-র মাধ্যমে ভারতের সামরিক ঘাঁটি এবং বিমান ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও তৃতীয় শক্তির মধ্যস্থতার জন্য সংঘর্ষবিরতি হয়নি। একথাও স্পষ্ট করেছে সেনাবাহিনী। ভারত এবং পাকিস্তান গোলাবর্ষণ থামানোর জন্য একটি সমঝোতা করে।