Advertisement

India Pakistan Tension: যুদ্ধবিরতির ৩ ঘণ্টার মাথায় গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের! শরিফ-মুনির মতপার্থক্যের জের?

India Pakistan Tension: ১০ মে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করে। কাশ্মীর, রাজস্থান ও গুজরাট সীমান্তে একাধিক ড্রোন ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ভারতীয় নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাক সেনার অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের ইঙ্গিত মিলছে।

যুদ্ধবিরতির ৩ ঘণ্টার মাথায় গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের! শরিফ-মুনির মতপার্থক্য?যুদ্ধবিরতির ৩ ঘণ্টার মাথায় গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের! শরিফ-মুনির মতপার্থক্য?
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 11 May 2025,
  • अपडेटेड 1:58 AM IST

India Pakistan Tension: পাকিস্তান ফের দেখাল আসল চেহারা। ১০ মে ২০২৫ তারিখে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই পাক সেনা কাশ্মীর, রাজস্থান ও গুজরাট সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করে। সঙ্গে দেখা গেছে সন্দেহভাজন ড্রোনের তৎপরতাও। শ্রীনগরের সেনা সদর দফতরের কাছে ভারতীয় সেনা ৪টি পাক ড্রোন ভূপাতিত করেছে। প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কেন এই চুক্তিকে সম্মান জানাচ্ছে না?

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান সেনার এক কট্টরপন্থী গোষ্ঠী তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহের পথে হাঁটছে। পাক সেনার শীর্ষ নেতৃত্ব সরকার-ঘোষিত চুক্তিকে মানতে রাজি নয়।

উল্লেখযোগ্য, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের অনুরোধের ভিত্তিতে ভারত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। ভারত তার দিক থেকে চুক্তি পালন করলেও, পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করে যুদ্ধবিরতির তিন ঘণ্টার মাথায়।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনির-এর ভারত-বিরোধী আগ্রাসী নীতি এবং উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডকেই এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অভ্যন্তরে সেনার সমালোচনা ও জনরোষ থেকে দৃষ্টি সরাতে মুনির ভারতকে লক্ষ্য করছেন।

৭ মে থেকে ভারত একাধিক আঘাতে পাকিস্তান সেনাকে দুর্বল করেছে। এর ফলে পাক সেনার একাংশ অসীম মুনিরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জুনিয়র অফিসার ও অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলরা অভিযোগ করেছেন, মুনির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেনার অপব্যবহার করছেন। এতে সেনা ও সরকারের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মুনিরের ওপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক এবং কিছু রাজনৈতিক দলের চাপ আছে বলে জানা যাচ্ছে। নিজের ও সেনার অবস্থান পাক সমাজে আরও শক্ত করতে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চরমপন্থী বার্তা দিচ্ছেন মুনির।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে মুনির কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের গলার শিরা’ বলেছিলেন এবং দুই-জাতি তত্ত্বকে সমর্থন করে হিন্দু ও মুসলিমদের একেবারে ভিন্ন জাতি বলে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্যের পরই কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা হয় বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement