বিশ্ব মঞ্চে সর্বদা ভিক্ষুক নাম হওয়া পাকিস্তান বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত এই কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পাকিস্তান শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উন্নত মাঝারি-পাল্লার এয়ার টু এয়ার মিসাইল(AMRAAM) পেতে পারে। দাবি করা হচ্ছে যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতির মধ্যে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি ঘোষণার সময় সম্প্রতি এই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, যার মধ্যে পাকিস্তান সহ আরও ৩৫টি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই চুক্তির অধীনে, আমেরিকান কোম্পানি রেথিয়নকে AIM-120C8 এবং D3 সংস্করণের মিসাইল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোট চুক্তির মূল্য প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি সম্পন্ন করার সময়সীমা ২০৩০ সালের ৩০ মে। এই কোম্পানি পাকিস্তান, তুরস্ক এবং অন্যান্য মার্কিন মিত্র দেশগুলির জন্য AMRAAM তৈরি করবে।
পাকিস্তান কী পাবে? এটি স্পষ্ট নয়
এই সমস্ত আলোচনার মধ্যে পাকিস্তান কতগুলি মিসাইল পাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এই চুক্তিটিকে পাকিস্তানের জন্য একটি বড় সামরিক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই চুক্তি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর F-16 যুদ্ধবিমানের আপগ্রেডের ইঙ্গিত দেয়, কারণ AMRAAM মিসাইল শুধুমাত্র এই বিমানগুলি থেকেই ছোড়া যায়। ২০১০ সালে আমেরিকা থেকে F-16 ব্লক 52 যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। সেই বিমানগুলির সঙ্গে AIM-120C-5 মিসাইলও কিনেছিল ইসলামাবাদ। সেই মিসাইলেরই উন্নত সংস্করণ হল AIM-120D।
সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ঘটনাবলীও জড়িত
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর এই চুক্তিটি করা হয়েছে। তাছাড়া, পাকিস্তান বিমানবাহিনী প্রধান জহির আহমেদ বাবরও জুলাই মাসে মার্কিন সফরে গিয়ে অনেক বৈঠক করেছিলেন। অনেরক ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন।