Advertisement

Pakistan: 'সিন্ধু জল চুক্তি পুনর্বিবেচনা করুন', ভারতকে 'হাতে পায়ে ধরে' অনুরোধ পাকিস্তানের

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকারের কড়া পদক্ষেপে কেঁপে উঠেছে ইসলামাবাদ। সেই হামলার পরপরই ভারত সিন্ধু জল চুক্তি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে জলের মারাত্মক সংকট ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সে দেশের জল সম্পদ মন্ত্রক।

Aajtak Bangla
  • 14 May 2025,
  • अपडेटेड 6:45 PM IST
  • পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকারের কড়া পদক্ষেপে কেঁপে উঠেছে ইসলামাবাদ।
  • সেই হামলার পরপরই ভারত সিন্ধু জল চুক্তি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকারের কড়া পদক্ষেপে কেঁপে উঠেছে ইসলামাবাদ। সেই হামলার পরপরই ভারত সিন্ধু জল চুক্তি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে জলের মারাত্মক সংকট ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সে দেশের জল সম্পদ মন্ত্রক।

জানা গেছে, পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রক ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রককে একটি চিঠি পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ওই চিঠি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দিল্লি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারত এই আবেদন স্পষ্ট ভাষায় খারিজ করে দিয়েছে।

এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সাফ জানিয়ে দেন – “রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইতে পারে না।” এই বক্তব্যে তাঁর কড়া অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।

সিন্ধু জল চুক্তি: ইতিহাস ও বাস্তবতা

১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল করাচিতে। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ভাগ করা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, শতদ্রু, বিয়াস এবং রাভির উপর ভারতের অধিকার দেওয়া হয়, এবং সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীগুলি পাকিস্তানকে দেওয়া হয়। পাকিস্তান এই চুক্তির অধীনে প্রায় ৮০ শতাংশ জল ব্যবহার করে, যেখানে ভারত তার ১৯.৫ শতাংশ অংশেরও পুরোটা ব্যবহার করে না।

বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তি এতদিন আন্তর্জাতিক শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হলেও, বর্তমান সন্ত্রাসবাদী ঘটনার পর ভারতের কঠোর অবস্থান নতুন জল রাজনীতির সূচনা করেছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement