Advertisement

Trishul exercise: ভারতের 'ত্রিশূল', পাকিস্তানকে সবক শেখাতে তৈরি হচ্ছে নৌসেনা

ভারতের পশ্চিম সীমান্তে শুরু হয়েছে বিশাল সামরিক অনুশীলন ‘ত্রিশূল মহড়া’, যা ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। এই মহড়াকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে তারা NOTAM (Notice to Airmen) জারি করে আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করেছে, অন্যদিকে নৌবাহিনীকে সতর্কতা জারি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় সামরিক শক্তির প্রদর্শনী দেখে পাকিস্তান কি ভীত?

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 01 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:50 PM IST
  • ভারতের পশ্চিম সীমান্তে শুরু হয়েছে বিশাল সামরিক অনুশীলন ‘ত্রিশূল মহড়া’, যা ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে।
  • এই মহড়াকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ভারতের পশ্চিম সীমান্তে শুরু হয়েছে বিশাল সামরিক অনুশীলন ‘ত্রিশূল মহড়া’, যা ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। এই মহড়াকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে তারা NOTAM (Notice to Airmen) জারি করে আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করেছে, অন্যদিকে নৌবাহিনীকে সতর্কতা জারি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় সামরিক শক্তির প্রদর্শনী দেখে পাকিস্তান কি ভীত?

ত্রিশূল মহড়া কী
‘ত্রিশূল’ বা Tri-Services Synergy Enabling Integrated Operations হল ভারতের তিন বাহিনীর সমন্বিত সামরিক অনুশীলন। এর মূলমন্ত্র ‘ত্রিশূলম্ সমন্বয়স্য বালম্’, অর্থাৎ ঐক্যের শক্তিই প্রকৃত বল। মহড়ার লক্ষ্য হল স্থল, সমুদ্র, আকাশ ও সাইবার যুদ্ধক্ষেত্রে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনার দক্ষতা অর্জন করা।

এই মহড়ায় টি-৯০ ট্যাঙ্ক, রাফালে যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। গুজরাট ও রাজস্থান রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অনুশীলন চলছে, বিশেষ করে স্যার ক্রিক অঞ্চলে, যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চল।

কখন ও কীভাবে হচ্ছে মহড়া
এই মহড়া শুরু হয়েছে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ থেকে, চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত (সম্ভাব্যভাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়তে পারে)। দক্ষিণ কমান্ডের নেতৃত্বে প্রায় ২০,০০০-এরও বেশি সেনা সদস্য এতে অংশ নিচ্ছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, 'এই অনুশীলন ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা ও সীমান্ত রক্ষার প্রতিশ্রুতি আরও শক্তিশালী করে তুলবে।'

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
ভারতের এই বিশাল সামরিক প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মতো NOTAM জারি করেছে, যাতে তাদের মধ্য ও দক্ষিণ আকাশসীমায় বিমান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এটিকে নৌ-মহড়া ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি বলে দাবি করা হচ্ছে।

এরপরই পাকিস্তান একই অঞ্চলে ‘নৌ নেভিগেশন সতর্কতা’ (Naval Navigational Warning) জারি করেছে। স্যার ক্রিক থেকে করাচি উপকূল পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা ভারতীয় মহড়ার সময়সূচির সঙ্গে প্রায় মিলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন এক্স (টুইটার)-এ পোস্ট করে জানান, 'পাকিস্তান এখন উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে, ভারতের ত্রিশূল মহড়া তাদের চোখে দৃশ্যমান শক্তি প্রদর্শন।'

Advertisement

পাকিস্তান কি ভীত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের পরপর দুটি NOTAM ও নৌসতর্কতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা ভারতের ত্রিশূল মহড়াকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। বিশেষ করে স্যার ক্রিকের মতো সংবেদনশীল এলাকায় এত বড় অনুশীলন পাকিস্তানকে স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক করেছে।

 

TAGS:
    Read more!
    Advertisement
    Advertisement