আরও এক নকশাল নেতাকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ঝাড়খণ্ড জন মুক্তি পরিষদের প্রধান পাপ্পু লোহারা। তার মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা। বাহিনীর গুলিতে নিত হয়েছে দলের আরেক সিনিয়র নেতা প্রভাত গাঞ্জুও। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য বলে সন্দেহভাজন তৃতীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে একটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের লাতেহার অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে।
সম্প্রতি, ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে শীর্ষ নকশাল কমান্ডার নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু। এই সপ্তাহের শুরুতে আবুঝামাদ জঙ্গলে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে আরও ২৯ জন নকশালবাদী। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদীদের নিকেশ করার লক্ষমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই সময়কে মাথায় রেখে নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন রাজ্যে নকশাল বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে।
পুলিশের মতে, শুক্রবার রাতে ২৪ জন নকশাল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় আত্মসমর্পণ করেছে এবং আরও ৩৩ জন নকশাল বস্তারে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। যাদের মধ্যে ২৪ জনের জন্য মাথার দাম ছিল ৯১ লক্ষ টাকা। ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও আত্মসমর্পণের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'এখন নকশালরা চরমপন্থার পথ ছেড়ে সমাজের মূলধারায় যোগ দিচ্ছে। আমরা এই আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলায় শুক্রবার চার নকশালকে গুলি করে মেরেছে বাহিনী। তারা বাহিনীকে দেখে গুলি চালাতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়, প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে লড়াই চলে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় একই সময়ে আরেকটি সংঘর্ষে আরও একজন নকশাল নিহত হয়েছে।