Parliament Operation Sindoor Debate: সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আজ, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিদেশ নীতির সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু হবে। ক্ষমতাসীন এনডিএ এবং বিরোধীরা উভয়ই এই আলোচনায় অংশ নেবে। কংগ্রেস তাদের লোকসভার সাংসদদের জন্য তিন লাইনের হুইপ জারি করেছে। আগামী তিন দিন তাঁদের সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, উভয় পক্ষই ১৬ ঘন্টা আলোচনায় একমত হয়েছে। ফলে সাধারণ, অন্য বিষয়ে আলোচনার তুলনায়, এটি অনেক বেশি সময় ধরে চলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু সোমবারই নয়, এই গোটা সপ্তাহটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
এই আলোচনা সংক্রান্ত সমস্ত বড় আপডেটের জন্য bangla.aajtak.in-এর এই লাইভ ব্লগে নজর রাখুন।আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে এটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।
AIMIM প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ভারত যদি নিজেকে বিশ্বগুরু মনে করে, তাহলে তাদের উচিত G-7 দেশগুলিকে পাকিস্তানকে FATF-এর গ্রে লিস্টে ফিরিয়ে আনার জন্য রাজি করানো। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্রনীতিকে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের বিষয় করা উচিত নয় বলে আহ্বান জানান। FATF এবং পররাষ্ট্র নীতিকে রাজনীতি থেকে আলাদা রাখার আবেদন জানান তিনি।
জয়শঙ্কর যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ট্রাম্পের বিষয়ে বলছেন, তখন বিরোধীরা তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করেন। সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাঁড়িয়ে বলেন, 'এখানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী কথা বলছেন, ওঁরা বিদেশমন্ত্রীকে বিশ্বাস করেন না। ওঁরা অন্য কোনও দেশকে বিশ্বাস করেন। এজন্যই ওঁরা সেটা নিয়ে বসে আছেন, আগামী ২০ বছর ধরেও সেখানেই বসে থাকবেন।'
এস জয়শঙ্কর বললেন, ২২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের মধ্যে কোনও ফোনালাপ হয়নি।
সংসদে এস জয়শঙ্কর: পাকিস্তান রেড লাইন পার করে ফেলেছিল। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। আমরা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছি।
বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখছেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, সংসদে সত্য বেরিয়ে আসা উচিত। পহেলগাঁও, অপারেশন সিঁদুর এবং বিদেশনীতি সম্পর্কে সত্য বেরিয়ে আসা উচিত। রাজনাথ সিং অনেক তথ্য দিয়েছেন, কিন্তু কীভাবে সন্ত্রাসীরা পহেলগাঁওয়র বৈসরনে এসেছিল তা বলেননি। তিনি বলেননি যে কীভাবে পাঁচজন বৈসরনে গিয়ে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। বিরোধী দল হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশের স্বার্থে প্রশ্ন করা। দেশ জানতে চায় পাঁচজন সন্ত্রাসী কীভাবে প্রবেশ করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল? তাদের উদ্দেশ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনীতি ধ্বংস করা। দেশের মানুষও জানতে চায় যে একশো দিন কেটে গেছে এবং সরকার তাদের ধরতে পারেনি। কেউ তাদের পালাতে সাহায্য করেছে এবং একশো দিন পরেও সরকারের কাছে কোনও উত্তর নেই।
সংসদে 'সিঁদুর' নিয়ে বিরোধী দলের তরফে প্রথম বক্তব্য রাখছেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, 'সংসদে সত্য বেরিয়ে আসা উচিত। রাজনাথ সিং অনেক তথ্য দিয়েছেন, কিন্তু কীভাবে সন্ত্রাসীবাদীরা পহেলগাঁওয়ে এসেছিল, তা জানা যায়নি। বিরোধী দল হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশের স্বার্থে প্রশ্ন করা।'
রাজনাথ সিং বলেন, আমাদের নীতি ভগবান রাম এবং ভগবান কৃষ্ণের দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা আমাদের বীরত্ব এবং ধৈর্য উভয়েরই শিক্ষা দেয়। আমাদের নীতি স্পষ্ট। আমরা একসময় লাহোর বাস যাত্রার ভাষায় কথা বলেছিলাম, কিন্তু পাকিস্তান তা বুঝতে পারেনি। এখন আমরা বালাকোট হামলার ভাষায় জবাব দেব। আমরা শান্তির পক্ষে এবং আমাদেরও শক্তি আছে। এই শক্তি আমাদের সামর্থ্য থেকে এসেছে। আমি বলছি না যে এটি আগে ছিল না, আগেও ছিল কিন্তু গত ১১ বছরে এটি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যখন আমাদের সিডিএসকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কি অভিযানের জন্য প্রস্তুত, তিনি এক মুহূর্তও সময় নেননি এবং বলেন হ্যাঁ স্যার।
রাজনাথ সিং বলেন, বিরোধীরা জিজ্ঞাসা করছে আমাদের কত বিমান ভূপতিত করা হয়েছে। এই প্রশ্নটি জনসাধারণের অনুভূতির যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা কখনও আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে আমাদের বাহিনী কত শত্রু বিমান ভূপতিত করেছে। যদি তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হয়, তাহলে তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে কিনা, উত্তর হল হ্যাঁ। রাজনাথ সিং বলেন, যখন লক্ষ্য বড় হয়, তখন ছোট ছোট বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত নয়। এটি দেশের নিরাপত্তা, সৈন্যদের সম্মান এবং উৎসাহ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারে।
রাজনাথ সিং বলেন, 'সমস্ত টার্গেট অ্যাচিভ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই কারণেই মিশন স্থগিত করা হয়েছিল। ভারত যে চাপের মুখে অভিযান বন্ধ করেছে, সেই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অপারেশন সিঁদুর শুরুরই উদ্দেশ্য ছিল বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানে দিব্যি ঘুরে বেড়ানো জঙ্গিদের, ও তাদের ঘাঁটিগুলিকে সমূলে বিনাশ করা।আমাদের বাহিনী কেবল তাদেরই সন্ত্রাসবাদীদেরই টার্গেট করেছিল। যুদ্ধ করাটা কখনই এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল না।'
রাজনাথ সিং বলেন, ভারত এই অভিযান বন্ধ করে দিয়েছে কারণ আমরা নির্ধারিত সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছি। এটা বিশ্বাস করা সম্পূর্ণ ভুল যে ভারত চাপের মুখে অভিযান বন্ধ করেছে। অপারেশন সিঁদুর শুরু করার উদ্দেশ্য ছিল বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানে লালিত সন্ত্রাসী নার্সারিগুলিকে ধ্বংস করা। আমাদের বাহিনী কেবল তাদেরই লক্ষ্যবস্তু করেছিল যারা এই সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করার সঙ্গে জড়িত ছিল। এই অভিযানের উদ্দেশ্য যুদ্ধ করা ছিল না। ১০ মে সকালে, যখন ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করে, তখন পাকিস্তান পরাজয় স্বীকার করে নেয়। পাকিস্তান আমাদের ডিজিএমও-এর সঙ্গে কথা বলে।
রাজনাথ বললেন, অপারেশন সিঁদুরের সময় সেনাকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। কোনও বাইরের চাপে অপারেশন সিঁদুর বন্ধ হয়নি। লক্ষ্যপূরণ পর্যন্ত অপারেশন চলেছে। ভারতের পরাক্রম দেখেছে গোটা দুনিয়া।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন,'অপারেশন সিঁদুরের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান যে সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে বছরের পর বছর ধরে বাড়তে সাহায্য করেছে সেগুলি সমূলে ধ্বংস করা। এই অপারেশনের উদ্দেশ্য যুদ্ধ করা ছিল না।'
আমাদের পদক্ষেপ সম্পূর্ণরূপে আত্মরক্ষার জন্য ছিল। ৭ মে রাত থেকে ১০ মে রাত ১:৩০ টা পর্যন্ত পাকিস্তান আক্রমণের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল আমাদের সামরিক ঘাঁটি। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম পাকিস্তানের প্রতিটি আক্রমণ ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং পাকিস্তান কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়নি। প্রতিটি আক্রমণ ব্যর্থ করা হয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী শত্রুর প্রতিটি পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের আক্রমণের জবাবে আমাদের পদক্ষেপ ছিল সাহসী এবং দৃঢ়। আমাদের বাহিনী সফলভাবে এই মিশনটি সম্পন্ন করতে সফল হয়েছে।
লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা শুরু করে সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ৬-৭ মে রাতে সেনাবাহিনী একটি ঐতিহাসিক অভিযান পরিচালনা করে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ধর্ম জিজ্ঞাসা করে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। পহেলগাঁও হামলা অমানবিকতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এর পর, প্রধানমন্ত্রী তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেন।
সংসদে আলোচনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, '২২ মিনিটে খেল খতম হয় জঙ্গিদের। অপারেশন সিঁদুরে আমরা শত্রুদের ঘরে ঢুকে তাদের নিকেশ করেছি।'
'অপারেশন সিঁদুর'-এ ভারতীয় সেনা ১০০-র বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। সংসদে জানালেন রাজনাথ সিং।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা শুরু হল লোকসভায়। আলোচনার সূচনা করলেন রাজনাথ সিং।
'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে বিতর্ক শুরু লোকসভা অধিবেশন। এই নিয়ে প্রথম বক্তব্য রাখছেন রাজনাথ সিং।
লোকসভার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। স্পিকার ওম বিড়লা সভাপতির আসনে বসলেন। তিনি বলেন যে সকল দলের নেতারা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন, আমরা এবং সরকার এতে একমত হয়েছি। তারপর আমি আপনাদের আলোচনাটি হতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কে তুমুল হইহট্টগোল চলছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বললেন, 'আমার সুযোগ ভিতরে। বাইরে কিছু বলার নেই।'
লোকসভার কার্যক্রম দুপুর ১টা পর্যন্ত মুলতুবি, অপারেশ সিঁদুর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে বিতর্ক শুরু হচ্ছে আজ। আজই ভাষণ দেবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আগামিকাল অর্থাত্ মঙ্গলবার বক্তব্য পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সংসদের বিতর্কসভায় বক্তাদের তালিকায় কেন নেই শশী থারুর? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস সাংসদ হেসে জবাব দিলেন, 'মৌন ব্রত, মৌন ব্রত...।'
'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সোমবার বিকেল ৪.৩০ মিনিটে বক্তব্য রাখবেন সনিয়া গান্ধী।
আজ সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে লোকসভায় বক্তব্য রাখবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পরের দিন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় বিজেপির প্রথম বক্তা হবেন। আলোচনার শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখতে পারেন।
আগামিকাল, ২৯ জুলাই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। সংসদে তালিকাভুক্ত কাজকর্ম চলছে। সভাপতিত্ব করছেন কৃষ্ণ প্রসাদ টেনেতি।
আজ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কে সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ভাষণ দেবেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কংগ্রেসের তরফে যাঁরা ভাষণ দেবেন, সেই তালিকায় নাম নেই শশী থারুরের।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, গৌরব গগৈয়ের নাম নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের প্রেক্ষিতে বলেন যে, আপনারা এবং দলের বাকি নেতারা এসেছিলেন। আপনারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, তাহলে প্রশ্নোত্তর পর্ব কেন হতে দিচ্ছেন না? প্রশ্নোত্তর পর্ব সাংসদদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সংসদ সকলের। দেশ দেখবে যে আপনারা প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতে দেননি এবং কার্যধারায় বাধা সৃষ্টি করেছেন।
সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিলে আলোচনার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেন, 'আমরা সরব হব, আগামিদিনে বিজেপি যদি ভাবে বাংলার মানুষকে ভাতে মেরে শিক্ষা দেবে, তাহলে আরও কঠোর শিক্ষার জন্য তৈরি থাকুন।' তিনি আরও বলেন, 'আপনারা বলছেন বাংলাদেশি অনুুপ্রবেশ করছে। বাংলা ছেড়ে দিন, পহেলগাঁওতে তো পুলিশ, বিএসএফ কেন্দ্রের। সেখানে যে বন্দুক নিয়ে যে ৪ জঙ্গি প্রবেশ করল, তা কীভাবে হল?' অভিষেকের প্রশ্ন, 'পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এল, তারপর তারা কোথায় চলে গেল? ফিরে গেল, না হাওয়ায় মিলিয়ে গেল আমরা কেউ জানি না। এটা ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর।'
রাজ্যসভায় বিরোধীদের হট্টগোল। ভাইস-চেয়ারম্যান হরিবংশ রাজ্যসভায় চেয়ার থেকে জিরো আওয়ারের কার্যক্রম শুরু করেন এবং অঙ্গনওয়াড়ি সম্পর্কিত বিষয়ে কথা বলতে বলেন। হট্টগোল অব্যাহত থাকায় তিনি দুপুর ১২টা পর্যন্ত সভার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন। লোকসভাও ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমরা এই পর্বে ও আগামী দিনেও বাংলাতেই ভাষণ দেব সংসদে। একটি পার্টিকে সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। কমিশন এখন বিজেপি তল্পিবাহক। মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মহামারির সময়ও ৮টি পর্যায়ে ভোট করা হয়েছে ২০২১ সালে। আসলে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট লুঠের চেষ্টা করছে বিজেপি। বাংলায় হেরেছে বলে, বাঙালির উপর অত্যাচার, বাঙালিদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই মাটিই তো দেশকে ৪টি নোবেল দিয়েছে। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান জানেন না। এরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ আটকানো তো বিএসএফ-এর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায়।'
লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের কার্যক্রম চলছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত পর্যটন মন্ত্রকের কার্যকারিতা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।
কংগ্রেস তাদের লোকসভার সাংসদদের সোমবার থেকে তিন দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে একটি হুইপ জারি করেছে। পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দু'টি বিষয়ই জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিদেশ নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুতর বিষয়। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।
আজ লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন না কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। দলীয় সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনায় বক্তব্য রাখতে ইচ্ছুক সাংসদদের কংগ্রেস সংসদীয় দলের (সিপিপি) অফিসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করতে হবে। আর এখনও পর্যন্ত শশী থারুর এমন কোনও অনুরোধ করেননি। (ইনপুট - রাহুল গৌতম)
লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগে, এক্স পোস্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, 'রাবণ যখন লক্ষ্মণ রেখা অতিক্রম করেছিল, তখন লঙ্কা ভষ্মীভূত হয়েছিল। আর পাকিস্তান যখন ভারতের লাল রেখা অতিক্রম করেছে, তখন পাকিস্তানকেও আগুনের মুখোমুখি হতে হয়েছে।'