Advertisement

Parliament Security Breach: মার্চেই সংসদে রেইকি, কোথায়-কীভাবে পরিকল্পনা অভিযুক্তদের? রইল ১০ তথ্য

সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই আবারও সংসদে বড়সড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন। তবে এবার হয়েছে নতুন সংসদ ভবনে। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে।

সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনসংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 14 Dec 2023,
  • अपडेटेड 8:03 AM IST
  • মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
  • যদিও একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে

সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই আবারও সংসদে বড়সড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন। তবে এবার হয়েছে নতুন সংসদ ভবনে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল আইপিসির ধারা ৪৫২ (অনুপ্রবেশ) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ছাড়াও UAPA-এর প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে মামলা রুজু করেছে। লোকসভা কক্ষের দর্শক গ্যালারিতে বসা দুই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে সাংসদের বসার মূল এলাকায়। জুতো থেকে রঙের ক্যান বের করে স্প্রে করতে থাকেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। সাংসদরা শীঘ্রই দুই যুবককে পাকডাও করে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দেয়। ওই দুই যুবকের নাম সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। যখন লোকসভার ভিতরে এই ঘটনাটি ঘটছিল, একই সময়ে এক মহিলা-সহ ২ জন সংসদ ভবনের বাইরে ক্যানিস্টার থেকে রঙিন গ্যাস স্প্রে করছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিল। তাঁদেরও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম অমল শিন্ডে ও নীলম দেবী নামে।

ভিকি শর্মা নামে আরেকজন ও তাঁর স্ত্রী বৃন্দাকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সমস্ত অভিযুক্তরা ভিকির বাড়িতেই উঠেছিলেন। পুলিশ ললিত ঝা নামে এক যুবককে খুঁজছে, যে সমস্ত অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন নিয়ে পলাতক, যারা সংসদ ভবনের ভিতরে এবং বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। সাগর শর্মা ভিজিটর গ্যালারিতে এসেছিলেন মহীশূর থেকে বিজেপি সাসংদ প্রতাপ সিমহার অতিথি হিসেবে। ৩৫ বছর বয়সী মনোরঞ্জন ডি কর্নাকের মহীশূরের বাসিন্দা। তিনি বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

আসুন জেনে নিই এই মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী তথ্য উঠে এসেছে

আরও পড়ুন

  • সমস্ত অভিযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া পেজ 'ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব'-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রায় দেড় বছর আগে মহীশূরে তাঁদের সবার দেখা হয়েছিল। ৯ মাস পর সবাই আবার মিলিত হয় এবং তখনই সংসদে অরাজকতা ছড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়।
  • এই বছরের মার্চ মাসে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন মনোরঞ্জন ডি বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিতে আসেন এবং একটি দর্শনার্থী পাস নিয়ে সংসদ ভবনের একটি রেইকি করেন।
  • সাগর জুলাই মাসে লখনউ থেকে দিল্লি আসেন। কিন্তু সংসদ ভবনের ভেতরে যেতে পারেননি। তিনি শুধু বাইরে থেকে রেইকি করেছিলেন।
  • রেইকি করার সময় মনোরঞ্জন ডি জানতে পেরেছিলেন যে জুতো সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয়নি।
  • ১০ ডিসেম্বর একে একে প্রত্যেকে নিজ নিজ রাজ্য থেকে দিল্লি পৌঁছন, মনোরঞ্জন ফ্লাইটে দিল্লি আসেন।
  • সমস্ত অভিযুক্তরা ১০ ডিসেম্বর রাতে গুরুগ্রামে ভিকি এবং বৃন্দার বাড়িতে উঠেছিলেন। গভীর রাতে গুরুগ্রামে পৌঁছেছেন ললিত ঝাও।
  • অমল শিন্ডে মহারাষ্ট্র থেকে রঙিন স্প্রে নিয়ে এসেছিলেন। সাগর শর্মা ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মহাদেব রোড থেকে সাংসদ প্রতাপ সিংহের পিএ-র থেকে পাস সংগ্রহ করেন।
  • সমস্ত অভিযুক্তদের ইন্ডিয়া গেটে দেখা হয়েছিল। এখানে অমল শিন্ডে সবাইকে রঙিন স্প্রে বিলি করেছিলেন।
  • সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন।
  • ললিত ঝা সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল করা অমল ও নীলমের ভিডিও তুলছিলেন। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে তাঁরা সকলেই সিগন্যাল অ্যাপের মাধ্য়মে যুক্ত হন। হট্টগোল শুরু হলেই ললিত সবার মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান।

Read more!
Advertisement
Advertisement