সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই আবারও সংসদে বড়সড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন। তবে এবার হয়েছে নতুন সংসদ ভবনে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল আইপিসির ধারা ৪৫২ (অনুপ্রবেশ) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ছাড়াও UAPA-এর প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে মামলা রুজু করেছে। লোকসভা কক্ষের দর্শক গ্যালারিতে বসা দুই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে সাংসদের বসার মূল এলাকায়। জুতো থেকে রঙের ক্যান বের করে স্প্রে করতে থাকেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। সাংসদরা শীঘ্রই দুই যুবককে পাকডাও করে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দেয়। ওই দুই যুবকের নাম সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। যখন লোকসভার ভিতরে এই ঘটনাটি ঘটছিল, একই সময়ে এক মহিলা-সহ ২ জন সংসদ ভবনের বাইরে ক্যানিস্টার থেকে রঙিন গ্যাস স্প্রে করছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিল। তাঁদেরও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম অমল শিন্ডে ও নীলম দেবী নামে।
ভিকি শর্মা নামে আরেকজন ও তাঁর স্ত্রী বৃন্দাকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সমস্ত অভিযুক্তরা ভিকির বাড়িতেই উঠেছিলেন। পুলিশ ললিত ঝা নামে এক যুবককে খুঁজছে, যে সমস্ত অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন নিয়ে পলাতক, যারা সংসদ ভবনের ভিতরে এবং বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। সাগর শর্মা ভিজিটর গ্যালারিতে এসেছিলেন মহীশূর থেকে বিজেপি সাসংদ প্রতাপ সিমহার অতিথি হিসেবে। ৩৫ বছর বয়সী মনোরঞ্জন ডি কর্নাকের মহীশূরের বাসিন্দা। তিনি বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
আসুন জেনে নিই এই মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী তথ্য উঠে এসেছে