আজ অর্থাত্ ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদে শুরু ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন। মূলত ৮টি বিল নিয়ে বিতর্ক হবে অধিবেশনে। অ্যাডভোকেটস (সংশোধনী) বিল ২০২৩, প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিক্যাল বিল ২০২৩, পোস্ট অফিস বিল ২০২৩ ও নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ো বিল ২০২৩ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
অধীর চৌধুরী বললেন, আজ আমাদের বিরোধীদের মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে হয়, বিশেষ অধিবেশন হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী ভাবে সংসদের গরিমা বজায় রাখবেন? জিরো আওয়ার নেই, প্রশ্নোত্তর পর্ব নেই।
লোকসভায় অধীর চৌধুরী বললেন, আজ একটি আবেগপ্রবণ দিন। জীবনে অনেক বন্ধু আসে, অনেকে চলে যায়, সেরকমই এই ভবনের কাজ চলছে। চলবে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে মৌন বলে কটাক্ষ করা হয়। আসলে তিনি কথা কম বলতেন। কাজ বেশি করতেন।
মোদী বললেন, 'নেহরুজির বক্তব্য সংসদকে অনুপ্রাণিত করেছে। এই সংসদ ভবন যেমন জরুরি অবস্থা দেখেছে, তেমনই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত হতেও দেখেছে। এই সংসদ বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছিল।'
মোদী বললেন, এই সংসদ জরুরি অবস্থা দেখেছে। আবার গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাও দেখেছে। এই সংসদেই এক দেশ এক কর নীতি চালু হয়েছে।
মোদী বললেন, এই সংসদ ভবনেই ৩টি নতুন রাজ্য গঠন হয়েছে। ছত্তীসগড়, উত্তরাখণ্ড ও ঝাড়খণ্ড। এটাই আমাদের সংসদের গরিমা। তেলঙ্গানা তৈরির জন্য রক্তলীলা বয়েছিল। এটাও দুঃখের। তেলঙ্গানাও যদি আনন্দের সঙ্গে তৈরি হত, তাহলে আজ রাজ্যটি অন্য উচ্চতায় পৌঁছতো।
মোদী বললেন, পণ্ডিত নেহরু, শাস্ত্রী থেকে শুরু করে ইন্দিরাজি, অটল বিহারী বাজপেয়ী ও মনমোহন সিং পর্যন্ত, সবাই দেশকে নতুন দিশা দিয়েছেন। আজ আপনাদের প্রশংসার সময়। রাজীবজি, ইন্দিরাজিকে যখন দেশ হারাল, তখন এই সংসদ ভবন শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছিল। প্রতিটি স্পিকার এই সংসদভবন সুচারু ভাবে চালিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথায়, সাংসদরা করোনাকালেও সংসদে এসেছেন। এই সংসদেই সবচেয়ে কম বয়সে, মাত্র ২৫ বছর বয়সে সাংসদ হয়েছেন চন্দ্রমণি মুর্মু। এই ৭৫ বছর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, এই সংসদের উপরের দেশবাসীর বিশ্বাস বেড়ে চলেছে। অটুট থেকেছে।
মোদী বললেন, আমি যখন প্রথমবার সংসদের সদস্য হয়েছিলাম, এই ভবনে প্রথমবার প্রবেশ করেছিলাম, এই সংসদ ভবনকে মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম করেছিলাম। রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে দিন কাটানো এক শিশু সংসদে প্রবেশ করেছিলেন। আমি ভাবতে পারিনি, আমায় দেশ এত সম্মান দেবে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, এখন বিশ্বমন্ত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, এই ভবন থেকে বিদায় নেওয়া খুব আবেগের। পরিবার যখন পুরনো বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে যায়, সেরকমই আবেগপূর্ণ। অনেক আবেগে পরিপূর্ণ আমাদের মন। অনেক কিছু সাক্ষী এই সংসদ ভবন।
মোদী বললেন, জি ২০ সামিটের সাফল্য ভারতের সাফল্য। কোনও ব্যক্তির সাফল্য নয়। যখন আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০ গোষ্ঠীতে স্থায়ী সদস্য হল, সেই মুহূর্তটি ভুলব না।
লোকসভায় বিশেষ অধিবেশনের শুরুতে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, 'এই সংসদ ভবন বিদেশি শাসক তৈরি করলেও, পয়সা, শ্রম-- সবই আমার দেশবাসীর। আমরা নতুন ভবনে গেলেও, ভবিষ্যত্ প্রজন্মের প্রেরণা।'
সংসদের ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশনে কী কী নিয়ে আলোচনা হবে, তার ৮টি বিলের তালিকা সব সাংসদকে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
একটু পরেই সংসদে শুরু হতে চলেছে বিশেষ অধিবেশন। লোকসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংসদ ভবনের বাইরে প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'আগামীকাল গণেশ চতুর্থী। গণেশ বিঘ্ন দূর করেন বলে মনে করা হয়। ভারতেরও উন্নয়নের রাস্তায় কোনও বিঘ্ন আসতে দেওয়া যাবে না। তাই সাংসদের এই বিশেষ অধিবেশন ছোট। কিন্তু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
মোদী: আশা করি, সাংসদরা এই বিশেষ অধিবেশনে কান্নাকাটি, অভিযোগের অভ্যাস বাদ দেবেন। বরং নতুন ভারত গড়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করবেন। আমি আশা করি পুরনো খারাপ জিনিসগুলি ছেড়ে, ভাল জিনিসগুলি নিয়ে আমরা নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করব। এই পণ আমাদের প্রত্যেক সাংসদকে নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী: জি২০ ভারতের বৈচিত্রের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফ্রিকাকে জি২০-তে স্থায়ী সদস্য পদ প্রদান করা হল। এই সাফল্য অভূতপূর্ব। গতকাল যশোভূমি, ইন্টারন্যাশানাল কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধন হল। বিশ্বকর্মা পুজো ছিল। এমন একের পর এক উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশে এক উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশ এক নতুন আত্মবিশ্বাস অনুভব করছে। ওই সময়েই সাংসদের এই অধিবেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এক ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
সংসদে বিশেষ অধিবেশনে INDIA জোটের স্ট্র্যাটেজি কী হবে। তা নিয়ে বৈঠক করলেন বিরোধীরা।
সংসদে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১১টায় লোকসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
'বলছে স্পেশাল অধিবেশন। কিন্তু খিচুড়ির মতো। কী নিয়ে অধিবেশন, কেউ জানে না। যদি অধিবেশন হয়, তাহলে জিরো আওয়ার নেই কেন, প্রশ্নোত্তর পর্ব নেই কেন?' কেন্দ্রের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর।
সংসদে বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে রওনা হলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।
আজ সংসদে ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন। সকাল ১১টায় লোকসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংসদে বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি রওনা হলেন বিজেপি সাংসদ তথা সর্বভারতী সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিমানবন্দরে INDIA জোটকে কটাক্ষ করে বললেন, 'জোটটা তো আপনাদের খবর করার জন্য লোককে দেখানো হয়েছে, জোট হবে না ঘোঁট হবে আরও ভবিষ্যৎ আসুক। কিন্তু এরা যারা পরস্পরবিরোধী স্বার্থের লোক তারা এক জায়গায় কি করে থাকতে পারে।'
বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই সব এনডিএ সাংসদকে সংসদে উপস্থিত থাকতেই হবে বলে হুইপ জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
সংসদে বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে সকালেই দিল্লি রওনা হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে মোদী সরকারের আহ্বানে সংসদে ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন। 'এক দেশ এক নির্বাচন' রয়েছে। এছাড়া অ্যাডভোকেটস (সংশোধনী) বিল ২০২৩, প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিক্যাল বিল ২০২৩, পোস্ট অফিস বিল ২০২৩ ও নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ো বিল ২০২৩ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।