চিকিৎসার বিল মেটাতে না পারায় মৃত ব্যক্তিকে আটকে রাখার অভিযোগ আগেও উঠেছে একাধিক হাসপাতাল ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এবার মৃত ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা ও সিটি স্ক্যান করতে বললেন এক ডাক্তার। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই। ওই ব্যক্তি যে মৃত, তা পরিবারের সদস্যরা জানানোর পর সেই অভিযুক্ত ডাক্তার প্রেসক্রিপশন ছিঁড়ে পালিয়ে যান। উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলা হাসপাতালের ঘটনা।
জানা যায়, সেখানে এক ডাক্তার মৃত ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা এবং সিটি স্ক্যান করার নির্দেশ দেয়। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে সিএমও এবং স্বাস্থ্য দফতরকে। তাদের তরফে ঘটনার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিএমও জানান, ঘটনার তদন্তের জন্য একটা টিম গঠন করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট সামনে এলে ঘটনা পরিষ্কার হবে। তখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই রোগীর নাম ভোলা পাল। বাদুসা এলাকার দুবরিয়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। ৮২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে রাস্তায় বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জানান, ডাক্তার চেকআপ করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত পরীক্ষা ও সিটি স্ক্যানের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে রাস্তায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, তাতেও ডাক্তারবাবু কথা শোনেননি। শুধু তাই নয়, একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে সেই রোগীকে চেক আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, সরকার স্বাস্থ্য সুবিধা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও ওই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা লুটপাট চালাচ্ছেন। মৃত্যুর পর ডাক্তার কমিশন আত্মসাতের লক্ষ্যে রক্ত পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান করতে বলেন।
বান্দার সিএমও ডাক্তার অনিল কুমার জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।