Advertisement

বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার নাবালক ও নাবালিকার দেহ, জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার জ্বলন্ত নাবালক ও নাবালিকার দেহ। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির ভিতর ঢুকে মারধর করার পর জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দুজনকেই। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

মৃত নাবালিকা ও নাবালক মৃত নাবালিকা ও নাবালক
Aajtak Bangla
  • পটনা ,
  • 31 Jul 2025,
  • अपडेटेड 9:13 PM IST
  • বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার জ্বলন্ত নাবালক ও নাবালিকার দেহ
  • পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির ভিতর ঢুকে মারধর করার পর জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দুজনকেই

বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার জ্বলন্ত নাবালক ও নাবালিকার দেহ। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির ভিতর ঢুকে মারধর করার পর জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দুজনকেই। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। পটনার জানিপুরের এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। 

মৃতদের নাম অঞ্জলি কুমারী (১৫) ও অংশুল কুমার (১৫)। সম্পর্কে তাঁরা ভাইবোন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়। তদন্তও শুরু হয়েছে।

মৃতদের পরিবারের অভিযোগ

মৃতদের বাবা লল্লান গুপ্তা জানান, তাঁদের বাড়ির কাছে ২-৩ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে তিনি দেখেছিলেন। সেই ব্যক্তিরা দুষ্কৃতী। তারাই খুন করেছে দুজনকে। তাঁর কথায়, 'যদি কোনও দুর্ঘটনা হত তাহলে আমার ছেলে ও মেয়ে পালানোর চেষ্টা করত। অন্তত দরজাও খুলত। তবে তারা তেমন কিছুই করেনি। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, কেউ বা কারা খুন করেছে।' 

স্থানীয় নির্বাচনি অফিসে কাজ করেল লল্লান গুপ্তা। তাঁর স্ত্রী পটনা AIIMS-এ কর্মরত। তিনি কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন, ঘরে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে ২ জন। এরপর তিনি স্বামীকে খবর দেন। তিনি কর্মস্থল থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁর স্ত্রী ততক্ষণে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। 

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

এদিকে পুলিশ আসার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে ঘিরে ধরে শত শত গ্রামবাসী। মৃতদের বাবা বলেন, 'আমি অপরাধীদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারব। পুলিশের কাজ ওদের খুঁজে বের করা।' 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ কর্তব্যে গাফিলতি করছে। এতক্ষণ দোষীদের ধরে ফেলা উচিত ছিল। কিন্তু তদন্তে গড়িমসি হচ্ছে। তেমন হলে পুলিশের বিরুদ্ধেও পথে নামা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিও করেন তাঁরা। 

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তাদের খুন করা হয়েছে, তেমনই কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। পটনা পশ্চিমের পুলিশ সুপার ভানু প্রতাপ সিং জানান, 'দুর্ঘটনার জন্য মৃত্যু নাকি খুন সেটা তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। তবে খুন হলে কাছের কেউ জড়িত থাকতে পারে।'   

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement