Advertisement

PFI: সিক্রেট প্ল্যানিং-শাহ-ডোভালের মনিটরিং, PFI-তল্লাশি অভিযান কীভাবে?

PFI: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অজিত ডোভালও ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোভালের ফোকাস ছিল শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তার দিকে। তবে এই সময়ে ডোভালের দলও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত ছিল। সেই কাজটি ছিল কেরল থেকে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর পুরো নেটওয়ার্ককে উপড়ে ফেলা।

নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পিএফআই সদস্যদের। ছবি পিটিআইনিয়ে যাওয়া হচ্ছে পিএফআই সদস্যদের। ছবি পিটিআই
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 23 Sep 2022,
  • अपडेटेड 10:57 AM IST
  • সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো সিক্রেট প্ল্যানিং
  • PFI-এর বিরুদ্ধে অভিযানে মনিটারিং করেন খোদ শাহ-ডোভাল
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

২রা সেপ্টেম্বর,২০২২। ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে আইএনএস বিক্রান্ত হস্তান্তর করতে কেরালার কোচিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অজিত ডোভালও ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোভালের ফোকাস ছিল শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তার দিকে। তবে এই সময়ে ডোভালের দলও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত ছিল। সেই কাজটি ছিল কেরল থেকে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর পুরো নেটওয়ার্ককে উপড়ে ফেলা।

ডোভালের প্ল্যান

এর জন্য এনএসএ ডোভাল প্রথমে কেরলের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এখানে অজিত ডোভাল পুলিশকে তাঁর পুরো পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান। এরপর কেরল থেকে ডোভাল মুম্বাইতে যান। সেখানে গভর্নর হাউসে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের মতো এই পুরো মিশনটি গোপন রাখা হয়। এ জন্য তিন-চার মাস আগে বিশিষ্ট ইসলামি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও হয় তাঁর।

আরও পড়ুন

একাধিক স্থানে অভিযান

এরপর ২২ নভেম্বরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ NIA-এর প্রায় ২০০ আধিকারিক PFI-এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকানাগুলিতে অভিযান চালান। এতে সন্ত্রাসে অর্থায়নকারী শতাধিক পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। অত্যন্ত গোপনে পরিকল্পিত এই অভিযানে ১৫টি রাজ্যের প্রায় ১৫০টি স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়। পশ্চিমবঙ্গেও চলে অভিযান। এতে পিএফআই-এর জাতীয় সভাপতি ওএমএ সালাম কেরালা থেকে গ্রেফতার করা হন। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির পিএফআই প্রধান পারভেজ আহমেদকেও। দুপুর ১টায় এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ৪ জন আইজি, ১ জন এডিজি এবং ১৬ জন এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন। পুরো অভিযানে ১৫০টি মোবাইল ও ৫০টি ল্যাপটপও তল্লাশি করা হয়। গ্রেফতার করা পিএফআই নেতা-কর্মীদেরও দিল্লিতে হাজির করা হয়। পাতিয়ালা হাউস কোর্ট তাঁদের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে পাঠিয়েছে।

তথ্য অনুসারে, পুরো অপারেশনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের তত্ত্বাবধানে করা হয়েছিল।  তিনি এই পুরো অপারেশনটির পরিকল্পনা করেন। পুরো পরিকল্পনাটি গোপন রাখা হয়েছিল শুধুমাত্র অমিত শাহের নির্দেশেই। এর পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে এনআইএ অফিসারদের জন্য বিমান প্রস্তুত রাখা হয়। যাতে বিমানে বসে পিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তিদের দ্রুত নিয়ে আসা যায়। পুরো অভিযানে পরিকল্পনা ছিল অজিত ডোভালের। আর সেই প্ল্যানিংয়েই এক যোগ এতোগুলি ঠিকানাতে একসঙ্গে অভিযান চালানো হয়। এমনকি একটি গুলি চালানোর প্রয়োজনও পড়েনি। সূত্র বলছে, আগামী সময়ে আরও কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নজরে রয়েছে কেন্দ্রের। ইনপুট অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement