পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে ভারতে এনে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রাখা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। আর এবার সেই জেলের ব্যারাক নম্বর ১২-এর ছবি বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিল ভারত। সেই ছবি হাতে এসেছে ইন্ডিয়া টুডে-এর। যা দেখলে আপনিও ভাবতে পারেন, এ জেল নাকি ফাইভস্টার হোটেলের রুম!
যতদূর খবর, ৪৬ বর্গমিটার আয়তন এই ব্যারাকের। এই ব্যারাকে ব্যক্তিগত টয়লেট রয়েছে। এছাড়া মিলবে আরও কিছু বেসিক ফেসিলিটি।
কেন হঠাৎ ছবি পাঠানো হল?
আসলে বেলজিয়ামের কোর্টে চোকসি দাবি করেন যে ভারতীয় কারাগারগুলোতে ভিড় রয়েছে। পাশাপাশি এগুলি নিরাপদও নয়। আর সেই দাবির বিপক্ষেই মত প্রকাশ করে ভারত। সেই মতো ভারতের সরকারি প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ছবিগুলো পাঠানো হয়।
কী কী সুবিধা রয়েছে এই ব্যারাকে?
ডকুমেন্ট বলছে, চোকসির জন্য ব্যারাক নম্বর ১২ নির্বাচিত করা হয়েছে। এই জেলেই রাখা হয়েছিল ২৬/১১-এর সন্ত্রাসী আজমল কাসাবকে। এটি উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন জেল। এখানে সব ধরনের সুবিধাই পাওয়া যায়।
কী বলেছেন চোকসির আইনজীবী?
বেলজিয়ামের কোর্টে মেহুল চোকসির আইনজীবী ভারতীয় জেলের খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি মনে করান, ভারতীয় কোর্টের অবস্থাও খুব খারাপ। এখানকার আইনেও স্বাধীনতা নেই। যদিও কোর্ট এই সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণ, যে এত জালিয়াতি মামলার মিডিয়া কভারেজ স্বাভাবিক। তার মাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব বা ন্যায্য বিচারের অধিকার লঙ্ঘন হয় না।
শুধু তাই নয়, চোকসি ভারতে নির্যাতন, অন্যায্য বিচার বা চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার যে অভিযোগ এনেছেন, তারও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ভারত কী জানিয়েছে?
ভারত সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে চোকসির অধিকার এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা হবে। আর্থার রোড জেল আন্তর্জাতিক মানের। এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
কবে দেশে ফেরানো হবে?
এখনও বেলজিয়ামের কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে। সেখানে নিম্ন আদালতে চোকসির বিপক্ষে গিয়েছে রায়। তবে এখনও তিনি চাইলে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। সেখান যদি হারেন, তখনই তাকে ভারতে আনা যাবে। তার আগে নয়। অর্থাৎ এখনও অনেকটা পথ বাকি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।