'কংগ্রেস এখন আর্বান নকশালদের ঠিকা নিয়েছে।' ঠিক একথা বলেই কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, আজ মধ্যপ্রদেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে, কংগ্রেস সরকার আবার ক্ষমতায় এলে রাজ্যটিকে 'বিমারু রাজ্যে' (অসুস্থ) পরিণত করবে। তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন, বলেছেন যে দলটি তাদের শাসিত প্রতিটি রাজ্যকে ধ্বংস করেছে এবং মধ্যপ্রদেশেও একই কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "বিজেপি মধ্যপ্রদেশে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শাসন করছে। মধ্যপ্রদেশের বর্তমান যুবকরা ভাগ্যবান যে তারা কংগ্রেস সরকারের খারাপ শাসন প্রত্যক্ষ করেনি। স্বাধীনতার পর, কংগ্রেস দীর্ঘকাল ধরে মধ্যপ্রদেশ শাসন করেছে এবং এটিকে একটি শক্তিশালী করেছে। 'বিমারু রাজ্য'। কিন্তু আমরা এটিকে তার পায়ে ফিরিয়ে এনেছি প্রধানমন্ত্রী মোদি দাবী করেছেন যে কংগ্রেস একটি "কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে যেটি তার নেতা থেকে শুরু করে শহুরে নকশাল থেকে তার স্লোগান পর্যন্ত সবকিছু আউটসোর্স করে"। "কংগ্রেস প্রথমে ধ্বংস হয়েছিল, এবং এখন তারা অন্য কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আপনি কি জানেন কে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে? এটি আরবান নকশাল," তিনি বলেছিলেন। তিনি তাঁর ভিডিওর সাথে পোস্ট করা একটি টুইটের মাধ্যমে তার সোশ্যাল মিডিয়াতে একই কথা জোর দিয়েছিলেন, ক্যাপশন দিয়েছেন "শহুরে নকশালরা কংগ্রেস পার্টি চালাচ্ছে!"।
উল্লেখ্য, এর আগেও মোদী ছত্তিশগড়ে অভিযোগ তুলেছিলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আঘাত করার উদ্দেশ্যেই বারবার হামলা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। আর তাদের পিছনে মদত রয়েছে শহরের শিক্ষিত সমাজের একাংশের। তিনি বলেছিলেন, ‘এই শহুরে মাওবাদীরা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন। বিদেশে পড়াশোনা করেন। আর দামি গাড়ি চড়ে ঘুরে তাঁরা এখানে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চালান।’
মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে পুলিশ সম্প্রতি কয়েকজন সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করায় সরব হয়েছিল কংগ্রেস। ছত্তীসগড়ে সাম্প্রতিক মাও-হামলায় সিআরপিএফ জওয়ান এবং দূরদর্শনের চিত্রসাংবাদিক নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মোদীর প্রশ্ন ছিল, ‘ওই হামলাকারীদের মদতদাতাদের যারা সমর্থন করছে, তাদের কি ক্ষমা করা যেতে পারে? ভোটে তাদের শিক্ষা দিতে হবে।' এদিনও ভোপালে মোদীর মুখে শোনা গেল আরবান নকশাল বা শহুরে নকশালদের প্রসঙ্গ।