রবিবার নাগপুরে সংঘের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গেও দেখা করেন। এরপর, তিনি দীক্ষাভূমিতে বাবা সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিও অর্পণ করেন। এদিকে, শিবসেনা-ইউবিটি নেতা সঞ্জয় রাউত প্রধানমন্ত্রীর নাগপুর সফরের সমালোচনা করেছেন এবং দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী সেপ্টেম্বরে অবসর নিতে চলেছেন।
সঞ্জয় রাউত বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর পরবর্তী উত্তরসূরি মহারাষ্ট্র থেকে হবেন এবং সংঘ এটি সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদও সংঘ ঠিক করবে। এটা স্পষ্ট যে সংঘ যাকে চাইবে তিনিই বিজেপি সভাপতি হবেন। ১০ বছর পর নাগপুরে গিয়ে সরসঙ্ঘচালকের সঙ্গে দেখা করা মোদীর পক্ষে কোনও সাধারণ বিষয় নয়।'
সংঘ পরিবার দেশের নেতৃত্বে পরিবর্তন চায়- রাউত
রাউত আরও বলেন, ' সম্ভবত তিনি (মোদী) আরএসএস সদর দফতরে গিয়েছিলেন সেপ্টেম্বরে অবসরের আবেদনপত্র লিখতে। আমার জানা তথ্য অনুযায়ী, গত ১০-১১ বছরে মোদীজি কখনও সেখানে যাননি। এবার মোদীজি বলতে গিয়েছিলেন যে তিনি মোহন ভাগবতজিকে বলতে যাচ্ছেন যে তিনি টাটা-বাই-বাই বলছেন।’ রাউত আরও বলেন, 'এখন আরএসএস সম্পর্কে আমি দুটি জিনিস বুঝতে পেরেছি। প্রথমত, সংঘ পরিবার দেশের নেতৃত্বে পরিবর্তন চায়। দ্বিতীয়ত, এখন মোদীজির সময় শেষ এবং তারা দেশে পরিবর্তন চান।’
রাউতের অভিযোগের জবাব দেন ফড়নবিশ
রাউতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তিনি বলেন, 'দেখুন, মোদজি ২০২৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন। মুঘলদের মধ্যে এমনটা ঘটে যে বাবা জীবিত থাকে আর ছেলে রাজা হয়। যতটুকু আমার নামের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমি প্রধানমন্ত্রী পদের কোনও দৌড়ে নেই।'
RSS এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কোনও ব্যবধান নেই - ভাইয়াজি জোশী
এদিকে, আরএসএস নেতা সুরেশ ভাইয়াজি জোশী বলেছেন, 'তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) অনেক মহৎ কাজ করছেন এবং সমর্থন করছেন, এটা তার স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য এবং ভালো দিক যে তিনি মাধব নেত্রালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।’ আরএসএস এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কোন ব্যবধান নেই; এই সবই সংবাদ মাধ্যমের অবদান।’
মোদীর বয়স এবং বিজেপির নিয়ম
এই বছর, প্রধানমন্ত্রী মোদী ৭৫ বছর বয়সে পা দেবেন এবং বিজেপিতে একটি অব্যক্ত নিয়ম রয়েছে যে ৭৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া নেতারা তরুণ নেতাদের সুযোগ দেওয়ার জন্য পিছিয়ে যান। তবে, এর কিছু ব্যতিক্রম আছে। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিউরপ্পা ৮০ বছর বয়সেও দলের বিধায়ক হিসেবে তাঁর ভূমিকা পালন করেছেন।