এই মাসের শেষ দিকে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে একাধিক বিদেশ সফর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ৩০ অগাস্ট তিনি প্রথমে জাপান যাবেন। যেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। দুই দেশের কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাপান সফরের পর ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোদী চিনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। ২০১৯ সালের পর এটি হবে তাঁর প্রথম চিন সফর। এবং ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর প্রথমবার চিনা মাটিতে পা রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এবারের SCO আলোচনায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন, বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া হবে।
এই সফর এমন সময়ে হচ্ছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য ব্রিকস দেশগুলিকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। এবং ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার অভিযোগ তুলেছেন। ফলে মোদীর এই সফর কৌশলগত দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
এর আগে, গত জুনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং চিনের কিংডাওতে SCO-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিলেও এমন একটি নথিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান, যা সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করতে পারত। মতবিরোধের কারণে SCO শেষ পর্যন্ত যৌথ বিবৃতি জারি না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্রের খবর, SCO-র সভাপতি দেশ চিন এবং তার মিত্র পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার উল্লেখ নথি থেকে বাদ দেওয়া হলেও বেলুচিস্তান প্রসঙ্গ তোলা হয়, যা ভারতের বিরুদ্ধে পরোক্ষ অভিযোগ আনার ইঙ্গিত দেয়।