
'আজ সমস্ত ভারত, সমগ্র বিশ্ব রামময়। সব রামভক্তের হৃদয়ে আজ সন্তুষ্টি রয়েছে। অসীম কৃতজ্ঞতা রয়েছে। দীর্ঘদিনের ঘা শুকিয়ে যাচ্ছে।', আজ অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের উপরে গেরুয়া ধর্ম ধ্বজা উত্তোলন করার পর এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন মোদী ২০ ফুট লম্বা, ১০ ফুট প্রস্থ এবং প্রায় ৩ কিলোগ্রাম ওজনের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাম মন্দিরে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ও অন্যান্যরা।
তিনি আরও বলেন, 'আজ ভগবান রামের অনন্ত শক্তি। রাম পরিবারের প্রতাপ ধর্ম ধ্বজা রূপে এই মন্দিরের মাথায় স্থাপিত হয়েছে। এই ধ্বজা একটা ধ্বজা নয়। এটা ভারত জাগরণের ধ্বজা।... এই ধর্ম ধ্বজা ধনী এবং দরিদ্রকে দুঃখী থাকতে দেবে না। আমরা এমন সমাজ বানাবো যেখানে দরিদ্র থাকবে না।'
তাঁর মতে, এই ধ্বজার বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। এটি মানুষ দূর থেকেই দেখতে পাবেন। এই ধ্বজা দূর থেকেই ভক্তরা দেখতে পারবেন। এটা রামকে মানুষের কাছে পৌঁছবে।
আমাদের রাম ভেদাভেদ নয়, ভাবনার সঙ্গে জড়িত
তিনি বলেন, 'আমাদের রাম ভেদাভেদ নয়, ভাবনার সঙ্গে যুক্ত হন। ওনার জন্য ব্যক্তির কূল নয়, তার ভক্তিই গুরুত্বপূর্ণ... আমিও ওই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। গত ১১ বছরে মহিলা, দলিত, পিছিয়ে থাকা, অতি পিছিয়ে থাকা,আদিবাসী, বঞ্চিত, কৃষক, যুবক, সব বর্গকে বিকাশের কেন্দ্রে রেখেছি। দেশের সব বর্গ, ক্ষেত্রের বিকাশের জন্য সবার প্রয়াস লাগবে। তার মাধ্যমেই ২০৪৭ সালের মাধ্যমে বিকশিত ভারত তৈরি হবে।'
তিনি এই মন্দির বানানোর সমস্ত কারিগর, বাস্তুকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, 'অযোদ্ধা সেই ভূমি যেখানে আদর্শ আচরণ তৈরি হয়। এটাই সেই ভূমি যেখান থেকে ভগবান রাম নিজের জীবন পথ শুরু করেছিল। এই ভূমিই জানিয়েছিল যে কীভারে একজন ব্যক্তি সমাজে পুরুষোত্তম হন।'
৪৫ কোটি ভক্ত এসেছেন
তিনি বলেন, '৪৫ কোটি ভক্ত এসেছেন এটা পবিত্র ভূমি। আশপাশের লোকেদের আয় বেড়েছে।'
আমি না থাকলেও দেশ থাকবে
তিনি বলেন, 'আমি ছিলাম না তখনও দেশ ছিল, আমি থাকব না তখনও দেশ থাকবে। আমাদের রামের ব্যক্তিত্বকে বুঝতে হবে।... রাম মানে আদর্শ, রাম মানে মর্যাদা... রাম মানে সত্য এবং পরাক্রমের সঙ্গম।'
তাঁর মতে, ২০৪৭ পর্যন্ত বিকশিত হতে চাইলে, রামকে জাগাতে হবে। নিজেদের ভিতরে রামকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গোলামি থেকে বেরতে হবে
'ভারতের সব ঘরে, সব ভারতীয়ের মনে এবং ভারতের কোণায় কোণায় রাম আছেন। কিন্তু গোলামি করার মানসিকতা এতটাই গ্রাস করেছে যে প্রভু রামকেও কাল্পনিক ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধুরা আমরা ঠিক করেছি আগামী ১০ বছরের মধ্যে মানসিক গোলামি থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা।' বললেন মোদী।