Advertisement

PM Modi Vande Mataram Debate: 'বঙ্কিমবাবুর কলকাতায় বসেই বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা,' লোকসভায় মোদী আর কী কী বললেন?

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় 'বন্দে মাতরম' নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বঙ্কিমবাবুর কলকাতায় বসেই বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন নেহরু। এমনটাই দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী। বন্দে মাতরম নিয়ে আর কী কী বলেছেন তিনি?

বন্দে মাতরম বিতর্কে মোদী বন্দে মাতরম বিতর্কে মোদী
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 08 Dec 2025,
  • अपडेटेड 1:50 PM IST
  • বঙ্কিমবাবুর কলকাতায় বসেই বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন নেহরু
  • লোকসভায় এমনটাই দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী
  • ভাষণে বন্দে মাতরম নিয়ে আর কী কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

'বন্দে মাতরম' নিয়ে লোকসভার বিতর্কে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এই স্তোত্র। মোদী বলেন, 'আর কোনও গান বা মন্ত্র এমন আবেগ তৈরি করতে পারেনি আর পারবেও না।' সঙ্গে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি দাবি করেন, 'নেহরুজি বঙ্কিমবাবুর কলকাতায় বসেই বন্দে মাতরমের সঙ্গে কাটাছেঁড়া করেছিলেন। বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছিল।'

বঙ্গভঙ্গের প্রসঙ্গ 
এদিন নিজের ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এই মন্ত্র দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনকে প্রেরণা দিয়েছিল, ত্যাগ এবং তপস্যার দিশা নির্দেশ করেছিল, সেই বন্দে মাতরমের স্মরণ করা আমাদের কাছে অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়।' 

'বন্দে মাতরম'-এর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা
বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল বলে লোকসভায় সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'মহাত্মা গান্ধীর পবিত্র ভাবনাকে কলুষিত করা হয়েছিল। আগামী প্রজন্মকে জানানো উচিত, বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল।' এরপরই ইতিহাস স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, 'বন্দে মাতরমের প্রতি মুসলিম লিগের বিরোধী রাজনীতি বাড়ছিল। মহম্মদ আলি জিন্নাহ লখনউ থেকে ১৫ অক্টোবর, ১৯৩৭ স্লোগানিং করেছিলেন বন্দে মাতরমের বিরুদ্ধে। নিজের আসন নড়বড় হতে দেখছিলেন জওহরলাল নেহরু। মুসলিম লিগের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করতে হত, কিন্তু উল্টো করলেন তিনি। জিন্নাহের বিরোধিতার ৫ দিন পর ২০ অক্টোবর নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিঠি লেখেন। জিন্নাহর সঙ্গে সহমত পোষণ করে তিনি বলেন, আনন্দমঠে বন্দে মাতরমের অংশ মুসলিমদের চটাতে পারে।' 

কলকাতায় 'বন্দে মাতরম'-এর সঙ্গে সমঝোতা
ইতিহাস স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, এরপর কংগ্রেস জানায় ২৬ অক্টোবর থেকে তাদের কার্যসমিতির বৈঠক কলকাতায় হবে, যেখানে বন্দে মাতরমের বিশেষ অংশের সমীক্ষা করা হবে। মোদীর সংযোজন, 'বঙ্কিমবাবুর বাংলা, বঙ্কিমবাবুর কলকাতায় বসেই বন্দে মাতরমের কাটাছেঁড়া হল। দেশের মানুষ বিরোধিতা করল তা সত্ত্বেও বন্দে মারতম নিয়ে নেহরুজি সমঝোতা করলেন। বন্দে মাতরমের টুকরো করা হল। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে মাথা নত করে দিল। পক্ষপাতিত্বের রাজনীতির একটি বড় নমুনা ছিল সেটি। সে কারণে কংগ্রেসকে একদিন ভারত ভাগের জন্যও মাথা নত করতে হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত কংগ্রেসের নীতি এখনও একই রয়েছে। INC চলতে চলতে MNC হয়ে গিয়েছে।' 

Advertisement

বন্দে মাতরমের শততম বর্ষের কথা 
বন্দে মাতরমের ৫০তম বর্ষপূর্তির সময়ে দেশ স্বাধীন ছিল না। আর শততম বর্ষে দেশ জরুরি ব্যবস্থার মধ্যে জর্জরিত ছিল। লোকসভার ভাষণে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ভারতের সংবিধানের গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল সে সময়ে। দেশভক্তির জন্য লড়াই করা মানুষদের জেলে বন্দি করা হয়েছিল। এই গান দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল তার শততম বর্ষে দেশের কালো অধ্যায় চলছিল। তাই ১৫০তম বর্ষে সেই মহান অধ্যায়কে পুনর্স্থাপিত করার প্রয়াশ করছি আমরা। আজ আমাদের ঋণ স্বীকার করার সময়।' 

বন্দে মাতরমের ইতিহাস
১৮৫৭ সালের পর ইংরেজদের অত্যাচার ভারতীয়দের উপর বেড়ে গিয়েছিল। সে সময়ে এই গান লেখা হয়। প্রধানমন্ত্রী সকলকে মনে করান, 'ইংরেজরা নিজেদের রাষ্ট্রীয় গান, গড সেভ দ্য কিং ভারতের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিল। বঙ্কিমদা বলেছিলেন, ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেব। এরপর ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসে তিনি এই গান ব্যবহার করেন। বন্দে মাতরম এই বিচারকে পুনর্জীবিত করেছিলেন যা হাজার বছর ধরে ভারতীয়দের শিরায় শিরায় ছিল। সেই সংস্কার, সংস্কৃতি, পরম্পরাকে উত্তম শব্দের মাধ্যমে বন্দে মাতরমের রূপে আমাদের সওগাত দিয়েছিলেন। রাম যে মন্ত্র নিয়ে রাবণকে হারিয়েছিলেন, বন্দে মাতরম সেটিরই আধুনিক রূপ।'

বাংলার অলি-গলিতে বন্দে মাতরম স্লোগান
নরেন্দ্র মোদীর কথায়, 'ইংরেজরা জানত একবার বাংলা ভেঙে গেলে এই দেশও ভেঙে যাবে। আর তারা সারাজীবন এ দেশে রাজত্ব করবে। তাই ১৯০৫ সালে ওরা বাংলা ভেঙে দু'টুকরো করে দিল। সে সময়ে বন্দে মাতরম পাথরের মতো রুখে দাঁড়িয়েছিল। বাংলার একতার জন্য লড়াই করেছিল। গলি গলিতে এই স্লোগান দেওয়া হয়। এই স্লোগানই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রেরণা জুগিয়েছিল। বাংলা ভাগ করে দেশকে আরও দুর্বল করে দিতে চেয়েছিল ইংরেজরা। কিন্তু বন্দে মাতরমের এই স্লোগান তাদের সমানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাংলার গলি গলিতে বন্দে মাতরম নিয়ে প্রভাতফেরী বেরোত। বাংলার গলি থেকে বেরনো শিশুদের স্বর দেশকে সাহস জুগিয়েছিল। দুনিয়ায় আর এমন কোনও গান বা মন্ত্র নেই যা স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে এমন এমন আবেগ তৈরির ক্ষমতা রেখেছে।'
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement