প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাতের গান্ধীনগরে তিন দিনের গ্লোবাল আয়ুষ এবং ইনোভেশন সামিটের উদ্বোধন করেছেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাতি ভাষায় WHO-র পরিচালক ডঃ টেড্রোসের নামও দেন। প্রধানমন্ত্রী মজা করে বলেন, WHO-এর পরিচালক ডঃ টেড্রোস আমার খুব ভালো বন্ধু। তিনি আমাকে বলছিলেন যে তিনি ভারতের শিক্ষক দ্বারা শিক্ষালাভ করেন। আজ ডঃ টেড্রোস বলছিলেন যে, আমি নিশ্চিত গুজরাতি হয়ে গেছি। আমাকে কিছু গুজরাতি নাম দাও, আজ থেকে আমি আমার বন্ধুর নাম রাখছি 'তুলসী ভাই'।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন যে আয়ুষের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে আয়ুষ সেক্টরের আয় ছিল তিন বিলিয়ন ডলারের কম, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আমরা ইতিমধ্যে আয়ুষ ওষুধ, সাপ্লিমেন্টস এবং প্রসাধনী উৎপাদনে অভূতপূর্ব বৃদ্ধির সাক্ষী হচ্ছি। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন খাতে স্টার্টআপ সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করতে আয়ুষ মন্ত্রক বেশ কয়েকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। কয়েকদিন আগে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ দ্বারা তৈরি একটি ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।
স্টার্টআপের বর্ণনা দিতে গিয়ে পিএম মোদী বলেছিলেন যে এটি ভারতে ইউনিকর্নের যুগ। ২০২২ সালেই, এখনও পর্যন্ত ভারতের ১৪ টি স্টার্ট-আপ ইউনিকর্ন ক্লাবে যোগ দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে খুব শীঘ্রই আমাদের আয়ুশ স্টার্ট আপ থেকে ইউনিকর্নের আবির্ভাব ঘটবে। ঔষধি গাছ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কৃষকদের বাজারের সঙ্গে সহজে সংযোগ স্থাপনের সুবিধা পাওয়া খুবই জরুরি। এ জন্য সরকার আয়ুষ ই-মার্কেট প্লেসের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণেও কাজ করছে।
FSSAI গত সপ্তাহে তার রেগুলেশনে 'আয়ুষ আহার' নামে একটি নতুন বিভাগও ঘোষণা করেছে। এটি ভেষজ nutritional supplements উৎপাদনকারীদের ব্যাপকভাবে সুবিধা দেবে। ভারতও একটি বিশেষ আয়ুষ মার্ক তৈরি করতে চলেছে। এই চিহ্নটি ভারতে তৈরি সর্বোচ্চ মানের আয়ুশ পণ্যগুলিতে প্রয়োগ করা হবে। এই আয়ুষ চিহ্ন আধুনিক প্রযুক্তির বিধান দিয়ে সজ্জিত করা হবে। এটি সারা বিশ্বের মানুষকে কোয়ালিটি আয়ুষ পণ্যের ভরসা দেবে।
তিনি কেরালা সম্পর্কে বলেছিলেন যে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন কেরালার পর্যটন বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। এই শক্তি সমগ্র ভারতে, ভারতের প্রতিটি কোণে আছে। 'হিল ইন ইন্ডিয়া' (Heal in India) এই দশকের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারে। আয়ুর্বেদ, ইউনানি, সিদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সুস্থতা কেন্দ্রগুলি খুব জনপ্রিয় হতে পারে। বিদেশি নাগরিকদের জন্য যারা ভারতে এসে আয়ুষ থেরাপির সুবিধা নিতে চান, সরকার আরেকটি উদ্যোগ নিচ্ছে। শীঘ্রই, ভারত একটি বিশেষ আয়ুষ ভিসা বিভাগ চালু করতে চলেছে। এটি লোকেদের আয়ুষ থেরাপির জন্য ভারতে ভ্রমণের সুবিধা দেবে।
গত মঙ্গলবার গুজরাতের জামনগরে WHO-এর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের গ্লোবাল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। WHO প্রধান ডঃ টেড্রোস ঘেব্রেইসাস ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগনাউথ, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।