পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মঙ্গলবার খাড়গে দাবি করেছেন, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ৩ দিন আগেই খবর ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। নিজের কাশ্মীর সফর বাতিলও করেন মোদী।
খাড়গের দাবি, পহেলগাঁওয়ে হামলার ৩ দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর ছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীরে সম্ভবত হামলা হতে পারে। তার পরেই তিনি কাশ্মীর সফর বাতিল করেন। খাড়গের এহেন দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। এর আগে, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার পরেও বিজেপি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীদের একাংশ।
খাড়গে বলেছেন, 'গোয়েন্দা ব্যর্থতা রয়েছে। সরকার এটা মেনে নিয়েছে এবং সমাধান করবে। যদি তারা জানত, তা হলে কেন কিছু করল না?...আমি খবর পেয়েছি যে, হামলার ৩ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিস। সেই কারণে তিনি কাশ্মীর সফর বাতিল করেন। সংবাদপত্রেও এটা পড়েছি।'
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার রব উঠেছে সর্বত্র। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পাক ভিসা। আকাশপথেও কড়া পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। কঠোরতম শাস্তির কথা বলেছেন স্বয়ং মোদী।
জঙ্গি হামলার বদলা হিসাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনও মুহূর্তে প্রত্যাঘাত করতে পারে ভারত। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । কখন, কোথায় কী নিশানা করা হবে, তা স্থির করবে ভারতীয় সেনা। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারত কীভাবে বদলা নেবে, তার ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। পাশাপাশি, জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মহলেও খানিকটা চাপে পড়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনও মুহূর্তে কি প্রত্যাঘাত করবে ভারত? এই জল্পনা আরও জোরদার করল কেন্দ্রের মক ড্রিলের সিদ্ধান্তে। বুধবার মক ড্রিল করা হবে। মক ড্রিলের মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে হটলাইন এবং রেডিও-যোগাযোগ সংযোগগুলি কার্যকর করা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কার্যকারিতা পরীক্ষা করাও অন্তর্ভুক্ত। এয়ার রেড সাইরেন থেকে ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।