
কংগ্রেস আরও একবার ভাগ হবে। বক্তা আর কেউ নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহার ভোটে NDA-এর রেকর্ড জয়ের পর এমন বার্তা দিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের শরিকদের সতর্ক করেন। তাঁর মতে, কংগ্রেসের অভ্যন্তরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যার ফলে নতুন রাজনৈতিক উত্থান হতে পারে।
শুক্রবারের বক্তৃতায় তিনি ২০২৪ সালের পর থেকে কংগ্রেসের লাগাতার ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ছয় রাজ্যের ভোটে ১০০ সিটও পেরতে পারেনি কংগ্রেস। ৬ রাজ্যেই হয়েছে ভয়াবহ ফল। কোথাও তারা সরকার গঠন করতে পারেনি।
আর এই দীর্ঘদিনের ব্যর্থতার কারণে কংগ্রেসের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। তাই মোদী এই দলের শরিকদেরও সাবধান করে দিয়েছেন।
মুসলিম লিগ মাওয়িস্ট কংগ্রেস
এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে কংগ্রেস MMC-তে পরিণত হয়েছে। মুসলিম লিগ মাওবাদি কংগ্রেস। আর বর্তমানে কংগ্রেসের এজেন্ডা এর আশপাশেই ঘোরাফেরা করে। তাই কংগ্রেসের মধ্যেও এই নেতিবাচক রাজনীতির জন্য একটি পৃথক উপদল তৈরি হচ্ছে। আমি মনে করি কংগ্রেস আরও একবার ভেঙে যেতে পারে।'
তিনি কংগ্রেসের মধ্যে অসন্তোষের জন্য সরাসরি দলের নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন। যদিও মোদী সরাসরি রাহুল গান্ধীর নাম নেননি। তবে তার ইঙ্গিত ছিল সে দিকেই। তাঁর মতে, দলের অন্দরের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ অসন্তোষের দিকে নিয়ে গেছে। যার ফলে দলের সংহতি দুর্বল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, কংগ্রেস বিভাজনমূলক রাজনীতি করছে। দেশের জন্য ইতিবাচক এজেন্ডা তারা তুলে ধরতে পারছে না। পাশাপাশি তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই দল জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত নয় এমন নানা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। যার ফলে তারা মূল ধারা থেকে সরে যাচ্ছে। এমনকী শরিকরাও দূরে সরে যাচ্ছে।
মোদী বলেন, 'কংগ্রেসের বন্ধুরাও বুঝতে শুরু করেছে যে কংগ্রেস তার নেতিবাচক রাজনীতিতে সবাইকে ডুবিয়ে দিচ্ছে। সেই কারণেই বিহার নির্বাচনের সময় আমি বলেছিলাম যে কংগ্রেসের 'নামদার' পুকুরে ডুব দিয়ে বিহার নির্বাচনে নিজেকে এবং অন্যদের ডুবানোর কাজটি সেরে ফেলেছেন।'
তিনি কংগ্রেসকে একটি 'পরজীবী' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি জোটের শরিকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মোদী বলেছেলেন, 'আমি এর আগে এই মঞ্চ থেকে কংগ্রেসের মিত্রদের সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে কংগ্রেস একটি দায় হয়ে উঠেছে। এটি একটি পরজীবী দল। এই দল তার সঙ্গীদের ভোটব্যাঙ্ক গ্রাস করে ফিরে আসতে চায়। তাই শরিকদেরও কংগ্রেস থেকে সতর্ক থাকতে হবে।'