বাংলায় পা রাখার আগে বাংলারই পড়শি রাজ্য বিহারে গিয়ে বাংলার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুর্গাপুরে যাওয়ার আগে বিহারের মোতিহারির সভায় বাংলার উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন মোদী। বলেছেন, 'বেঙ্গালুরুর মতো উন্নয়ন হবে বীরভূমে। জলপাইগুড়ি হবে জয়পুরের মতো।' মোদীর এই উন্নয়ন মডেলের কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
বিহারের সভায় পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উন্নয়নের বার্তা দিতে গিয়ে মোদী বলেছেন, 'আমাদের সঙ্কল্প আছে, আগামী দিনে পশ্চিম ভারতে যেমন মুম্বই রয়েছে, তেমনই পূর্ব ভারতে মোতিহারির নাম হবে...পুণের মতো পটনা হবে, ওখানেও উন্নয়ন হবে। জয়পুরের মতো জলপাইগুড়ি, জাজপুর হবে, বেঙ্গালুরুর মতো বীরভূমের লোকেদেরও উন্নয়ন হবে। পূর্ব ভারতকে উন্নয়নের জন্য বিহারকে বিকশিত বিহার বানাতে হবে।'
মোদীর এহেন উন্নয়নের মডেলকে নিশানা করেছে তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'বাংলার উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এজন্য মাথা ঘামাতে হবে না। জলপাইগুড়ি সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে!'
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ছাব্বিশে বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি। তার আগে গত ২ মাসের ব্যবধানে ফের বাংলায় মোদীর সভা রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। আগামী সোমবার তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। তার ঠিক আগেই শুক্রবার বাংলায় মোদীর সভা বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলায় সভার আগে বিহারে দাঁড়িয়ে যেভাবে এ রাজ্যের দুই জেলার উন্নয়নের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী, তা রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে বীরভূম ও জলপাইগুড়ির আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। বীরভূম তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত। আবার, বিজেপি-সহ বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, দুর্নীতি-সহ নানা অপকর্ম চলে বীরভূমে। তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড়কে বেঙ্গালুরু বানানোর যে বার্তা দিলেন মোদী, তা উল্লেখযোগ্য। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিজেপির দখলে। ২০১৯ ও ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে জয়ী হয়েছে বিজেপি।