একদিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করেছে পাকিস্তান, অন্যদিকে একজন সন্ত্রাসবাদীকেও রেয়াত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছেন ২৬ পর্যটক। এই নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসবাদী শুধু নয়, তাদের মদতদাতাদেরও ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন নমো। এ দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে কোনও মতেই মাথাচাড়া দিতে দেওয়া হবে না বলে আবারও স্পষ্ট করলেন তিনি। ফলে শীঘ্রই কোনও বড় এবং কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেই অনুমান আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
শনিবার হায়দরাবাদ হাউসে অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির জন্য অ্যাঙ্কোলার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মোদীর কথায়, 'সন্ত্রাসবাদ মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু।'
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই অশান্ত জম্মু-কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান সীমান্ত। নাগাড়ে ন'বার নিয়ন্ত্রণ রেখায় রাতের অন্ধকারে গুলিবৃষ্টি করেছে পাকিস্তান। সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে পুঞ্চ, কুপওয়ারা, উরি, বারামুল্লা এবং আখনুরে। যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতও। রাজনাথ সিংহ, অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহানের সঙ্গে আলোচনার পর সেনাকে সব রকমের স্বাধীনতা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের সেনার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তিন প্রধানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,'সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করাই দেশের জাতীয় সংকল্প।'
এদিকে, শনিবারই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি করেছে পাকিস্তান। মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘আবদালি’। পাক সেনার ‘সিন্ধু’ নামে মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।