জোটের স্বার্থে নিজেদের কর্মীদের মৃত্যু নিয়েও চুপ। মঙ্গলবার বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমনই তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন পোর্ট ব্লেয়ারে বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন ইন্টিগ্রে টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে সুর চড়ান।
বিরোধীদের কড়া ভাষায় নিন্দা করে মোদী বলেন, 'যারা বেঙ্গালুরুতে এই জমায়েত করছেন, তাঁরা প্রত্যেকে একে অপরের দুর্নীতিতে সমর্থন করেন। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেখানে হিংসা, লাগাতার খুনোখুনি হয়েছে। কিন্তু সেটা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না। সেই নিয়ে এঁরা সকলে চুপ।'
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস ও বাম কর্মীদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নরেন্দ্র মোদী। কড়া ভাষায় তিনি বলেন, 'সেখানে কংগ্রেস ও বাম কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু জোটের স্বার্থ মাথায় রেখে সেই বিষয়ে কংগ্রেস-বাম নেতারা চুপ করে আছেন।' একইভাবে রাজস্থানে নারী স্বাধীনতার দুরাবস্থা নিয়েও সকলে চুপ আছেন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তামিলনাড়ুর দুর্নীতি নিয়েও এই জোটের নেতারা মুখ খুলছেন না বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'যখন দেশের কোনও এজেন্সি এঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন, তখনই এঁরা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।' বিরোধীরা একে অপরকে নিজেরাই ক্লিনচিট দিয়ে দেন বলেও দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী।
এরপর আমজনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'এঁদের ভাল করে চিনে নিন। এঁদের থেকে সতর্ক থাকুন। এঁদের ষড়যন্ত্রের মধ্যেই আমাদের দেশের উন্নয়নের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।'
কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কেউ যদি আদালতে বড় সাজা পান, তাঁকে এঁরা এই বৈঠকে আরও বেশি করে ডাকেন। শুধু তাই নয়, এঁদের থেকেই বেশি পরামর্শ নেওয়া হয়। এই কারণে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িতরা একসঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এঁদের প্রত্যেকে পরিবারতন্ত্রের সমর্থক। পরিবার যা বলবে তাই হবে। পরিবারের সিদ্ধান্ত ও স্বার্থেই এঁরা সমস্ত কাজ করেন। এঁদের কাছে দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের গুরুত্ব নেই।'
২০২৪ সালের লোকসভা ভোট নজরে রেখে জোট গঠন করছে বিরোধী দলগুলি। সনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে বেঙ্গালুরুতে ডিনারে মিলিত হয়েছেন ২৬টি বিরোধী দলের সুপ্রিমোরা। নীতীশ কুমার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন নৈশভোজে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
সনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে এসেছেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও। বেঙ্গালুরুতে নৈশভোজে যোগ দেন কংগ্রেস রাহুল গান্ধী।