Advertisement

PM Modi: 'নেহরুর অর্ডিন্যান্স, ইন্দিরার এমার্জেন্সি থেকে সনিয়া', সংবিধান নিয়ে মোদীর তোপে 'পরিবার'

সংবিধান-বিতর্কে লোকসভায় কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীকে বেনজির নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, '৭৫ বছরে ৫৫ বছর ওই একটা পরিবার দেশ শাসন করেছে। দেশবাসীর জানা উচিত তাদের নোংরা রাজনীতির ব্যাপারে। সংবিধানকে আঘাত হানতে কোনও রকম চেষ্টার কসুর করেনি কংগ্রেস পরিবার।' পাশাপাশি, নেহরুকে নিশানা করে মোদী বলেছেন যে,  নিজের আখের গোছাতে সংবিধান বদলাতে চেয়েছিলেন নেহরু। অন্য দিকে, জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন ইন্দিরা।' শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ টেনে রাজীব গান্ধীকেও নিশানা করেছেন মোদী। বলেছেন,  ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছিলেন রাজীব। সনিয়া গান্ধীকে 'সুপার পিএম' বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 14 Dec 2024,
  • अपडेटेड 9:02 PM IST
  • কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদী।
  • নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীকে বেনজির নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
  • সনিয়া গান্ধীকে 'সুপার পিএম' বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  

সংবিধান-বিতর্কে লোকসভায় কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীকে বেনজির নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, '৭৫ বছরে ৫৫ বছর ওই একটা পরিবার দেশ শাসন করেছে। দেশবাসীর জানা উচিত তাদের নোংরা রাজনীতির ব্যাপারে। সংবিধানকে আঘাত হানতে কোনও রকম চেষ্টার কসুর করেনি কংগ্রেস পরিবার।' পাশাপাশি, নেহরুকে নিশানা করে মোদী বলেছেন যে,  নিজেদের সুবিধার জন্য সংবিধান বদলাতে চেয়েছিলেন নেহরু। অন্য দিকে, জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন ইন্দিরা।' শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ টেনে রাজীব গান্ধীকেও নিশানা করেছেন মোদী। বলেছেন,  ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছিলেন রাজীব। সনিয়া গান্ধীকে 'সুপার পিএম' বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  

ঠিক কী বলেছেন মোদী?

১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশকে বাঁচানোর জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল কুর্সি বাঁচানোর জন্য। গণতন্ত্রের জন্য কালো অধ্যায় ছিল। দেশকে জেলখানায় পরিণত করা হয়েছিল।'

এরপরেই সংবিধান নিয়ে নেহরু, ইন্দিরা, রাজীবকে একযোগে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, 'সংবিধানকে ধ্বংস করতে চেয়েছে কংগ্রেস। একটা পরিবার সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, অপমান করেছে।' 

নেহরুকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, '১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কোনও নির্বাচিত সরকার ছিল না। অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল। একটা মনোনীত সরকার ছিল। ভোট হয়েছিল না। ভোট না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছিল। ১৯৫২ সালের আগে রাজ্যসভাও তৈরি হয়নি...১৯৫১ সালে যখন নির্বাচিত সরকার ছিল না, উনি অর্ডিন্যান্সের বদলে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। সংবিধান নির্মাতাদের কাছে এটা অপমান ছিল..।'

সংবিধান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের লেখা নেহরুর চিঠির প্রসঙ্গ টেনেও কংগ্রেসকে নিশানা করেন মোদী। বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহারলাল নেহরু মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সংবিধান যদি কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, তা হলে তা পরিবর্তন করা হবে। সেই সময় স্পিকার এবং আরও অনেকে নেহরুকে বলেছিলেন যে, এটা ভুল। কিন্তু উনি কারও কথা শোনেননি। ৬০ বছরে ৭৫ বার সংবিধান বদল করেছে।' জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে ইন্দিরাকেও টার্গেট করেছেন মোদী। বলেছেন, 'মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।' মোদী এ-ও বলেন, 'আমরা সংবিধানকে বদলেছি দেশের একতা মজবুত করার জন্য। গর্বের সঙ্গে করেছি।'

Advertisement

অন্য দিকে, কংগ্রেস সংরক্ষণবিরোধী বলেও এদিন কটাক্ষ করেছেন মোদী।বলেছেন, 'নেহরু থেকে রাজীব, সকলেই সংরক্ষণ বিরোধী ছিলেন। ভোটব্যাঙ্কের জন্য ধর্মীয় কোটা চায় কংগ্রেস।'

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement