ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, খারাপ আবহাওয়াতে অপ্রতিরোধ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে মণিপুরে হিংসাবিধ্বস্ত ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মণিপুরের ইম্ফলে তিনি পৌঁছন। ২০২৩-র হিংসার পর রাজ্যে তাঁর প্রথম সফর।
২০২৩-র মে মাসে, মণিপুরে উপত্যকার প্রভাবশালী মেইতেই সম্প্রদায় এবং পাহাড়ে বসবাসকারী কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। এই হিংসায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। প্রায় ৬০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। যারা এখনও সরকারের তৈরি অস্থায়ী শিবিরে বসবাস করছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রথম গন্তব্য ছিল পাহাড়ি চুরাচাঁদপুর শহরের পিস গ্রাউন্ডে। এরপর তাঁরা পৌঁছন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান কাংলা দুর্গে। চুরাচাঁদপুর হল এমন একটি জায়গা যেখানে কুকি-জি জনগোষ্ঠীর বাস। ইম্ফল, যা মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুর্গ, ৬১ কিমি দূরে অবস্থিত।
কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, হেলিকপ্টারে চুরাচাঁদপুর পৌঁছনোর জন্য আবহাওয়া অনুকূল ছিল না। তাই সড়কপথে প্রায় দেড় ঘণ্টা দূরে সভাস্থলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেন যত সময়ই লাগুক না কেন, তিনি অবশ্যই সেখানে পৌঁছবেন যাতে তিনি জনগণের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
চুরাচাঁদপুরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'মণিপুরের জনগণের মনোবলকে আমি স্যালুট জানাই। এত ভারী বৃষ্টির মধ্যেও এত মানুষ এসেছেন। আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।'
প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, কেন্দ্র সরকার হিংসা কবলিত রাজ্যে জীবনকে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। বলেন, ‘মণিপুরিদের জীবনকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন সরকার মণিপুরবাসীর পাশে আছে। ভারত সরকার মণিপুরের জনগণের সঙ্গে আছে।' তিনি সমস্ত গোষ্ঠীকে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য শান্তির পথ অবলম্বন করার আহ্বান জানান।