লখনউয়ের পিজিআই থানা এলাকায় এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতা তরুণীর নাম সুধা প্রজাপতি (২৭)। গত এক বছর ধরে তিনি স্বরূপ নগরের তেলিবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে তার লিভ-ইন পার্টনার মোহিনী তিওয়ারির সঙ্গে থাকতেন। গত ২০ জুন সেখানেই সুধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে, পরিবার আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ—তাদের দাবি, এটি একটি ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত হত্যা।
পরিবার যা বলছে
সুধার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটি নিছক আত্মহত্যা নয়। বরং, মোহিনী ও তার স্বামী সোনু তিওয়ারি মিলে সুধাকে হত্যা করেছে এবং ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। সুধার বোন নিধি অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় সোনু তিওয়ারি ওই ভাড়া বাড়িতে আসে এবং তিনজনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এরপরই ঘটে সুধার মৃত্যু। তাদের দাবি অনুযায়ী, খুন করার পর মোহিনী ও সোনু দু’জনেই পালিয়ে যায়।
সম্পর্ক ও অতীত
সুধা ও মোহিনীর পরিচয় হয় প্রায় আট বছর আগে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হয় এবং সুধা নিজের পরিবার ছেড়ে মোহিনীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন। সুধা প্রায়ই মোহিনীকে ‘প্রিয় স্ত্রী’ বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন। এই সম্পর্ক নিয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীরা বহুবার আপত্তি জানালেও, সুধা তাদের কথা শোনেননি।
পুলিশি পদক্ষেপ
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পিজিআই থানার পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সুধার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তবে পরিবার এটিকেও হত্যার প্রমাণ হিসেবে দেখছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
সুধা জীবিকা নির্বাহ করতেন দুর্গা মন্দিরের কাছে একটি ছোট হোটেলে চাইনিজ খাবার তৈরি করে। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ভেঙে পড়েছে এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।