Advertisement

Pralay Ballistic Missile: জয় হিন্দ! চিন-পাকিস্তানকে সবক শেখাতে ভারতের 'প্রলয়', কতটা বিধ্বংসী এই মিসাইল?

ভারতীয় সেনাবাহিনী শীঘ্রই চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে নতুন শক্তি হিসেবে মোতায়েন করবে প্রলয় মিসাইল। যা স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (SRBM) মধ্যে অত্যন্ত কার্যকর এবং শক্তিশালী। প্রলয় মিসাইল ভারতের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, বিশেষত সীমান্তের কাছাকাছি থাকা শত্রু ঘাঁটি দ্রুত এবং সঠিকভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 02 Oct 2024,
  • अपडेटेड 3:06 PM IST
  • ভারতীয় সেনাবাহিনী শীঘ্রই চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে নতুন শক্তি হিসেবে মোতায়েন করবে প্রলয় মিসাইল।
  • যা স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (SRBM) মধ্যে অত্যন্ত কার্যকর এবং শক্তিশালী।

ভারতীয় সেনাবাহিনী শীঘ্রই চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে নতুন শক্তি হিসেবে মোতায়েন করবে প্রলয় মিসাইল। যা স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (SRBM) মধ্যে অত্যন্ত কার্যকর এবং শক্তিশালী। প্রলয় মিসাইল ভারতের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, বিশেষত সীমান্তের কাছাকাছি থাকা শত্রু ঘাঁটি দ্রুত এবং সঠিকভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। ২০২১ সালে প্রথম সফল পরীক্ষা হওয়ার পর থেকে এর কার্যকারিতা এবং শক্তি নিয়ে প্রতিরক্ষা মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (DAC) সেনাবাহিনীর জন্য একটি নতুন রেজিমেন্ট গঠনের অনুমতি দিয়েছে, যেখানে প্রায় ৩৭০টি প্রলয় মিসাইল থাকবে।

প্রলয় মিসাইলের কার্যকারিতা
প্রলয় মিসাইলের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি ১২০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে শত্রুর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত করতে সক্ষম, যা প্রয়োজন অনুযায়ী ২০০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর মানে, শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়, যা এটিকে অত্যন্ত কার্যকরী এবং বিধ্বংসী করে তোলে। ৫ টন ওজনের এই মিসাইল প্রায় ৫০০-১০০০ কেজি ওজনের যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, যা লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করে।

সীমান্তে তাৎক্ষণিক ধ্বংস
সীমান্তের কাছাকাছি থেকে গুলি ছুড়লে চিন ও পাকিস্তানের ঘাঁটিগুলো মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হবে। শত্রুদের বাঙ্কার, কামান, এবং সামরিক ডিপো সহজেই ধ্বংস করতে সক্ষম হবে প্রলয় মিসাইল। বিশেষত, চিন এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর বিপক্ষে এই মিসাইল ব্যবহারে বড় ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। পাকিস্তানের গজনভি, এম-১১ এবং শাহীন মিসাইলের বিপরীতে প্রলয় আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রমাণিত হবে।

নির্ভুলতা ও গতি
প্রলয় মিসাইলের সঠিকতা এবং গতির জন্য এটি সবচেয়ে মারাত্মক বলে বিবেচিত হয়। লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে এর সুনির্দিষ্টতা ১০ মিটার (প্রায় ৩৩ ফুট) অর্থাৎ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি যদি লক্ষ্যবস্তুর ৩৩ ফুটের মধ্যে আঘাত করে, তবুও তার ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। এই নির্ভুলতা এটিকে অত্যন্ত বিধ্বংসী করে তোলে, যা শত্রুর ঘাঁটিতে সঠিকভাবে আঘাত হানতে পারে।

Advertisement

রাতেও আক্রমণের ক্ষমতা
প্রলয় মিসাইল রাতেও আক্রমণ করতে সক্ষম, যার ফলে রাতের অন্ধকারেও শত্রুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এটি ইনফ্রারেড এবং থার্মাল স্ক্যানার দ্বারা সজ্জিত, যা রাতে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে আঘাত করতে সাহায্য করবে।

সেনাবাহিনীতে সংযোজন
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেনাবাহিনীর রকেট বাহিনীতে প্রলয় মিসাইল অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও ৩৭০টি মিসাইল অন্তর্ভুক্ত হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলবে এবং চিন-পাকিস্তান সীমান্তে সুরক্ষা আরও মজবুত করবে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement