প্রয়াগরাজে ক্রমশ বাড়ছে ভক্তদের ভিড়। আর তা সামাল দিতে কার্যত হিশমিশ খেতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। মানুষের সমাগম এতটাই বেড়েছে যে, সীমান্তবর্তী জেলা থেকে যে ভক্তরা এসেছিলেন, তাঁরা ফিরতে শুরু করেছেন। এরইমধ্যে ভক্তদের জন্য খারাপ খবর। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজের সঙ্গম স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কুম্ভে স্নান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রয়াজরাজে মানুষের ঢল নেমেছে। ট্রেন দেরিতে চলছে। অনেক ভক্ত ট্রেনের ভরসায় না থেকে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে আসছিলেন মেলায়। তবে তাতেও স্বস্তি নেই। প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার আগে থেকেই জ্যাম লেগে থাকছে। ফলে অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে না পায়ে হেঁটে আসতে হচ্ছে কুম্ভে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই যানজটের কারণে সবথেকে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শিশু ও মহিলাগের। কুম্ভে আগত ভক্তদের মধ্যে পুরুষেক সংখ্যা বেশি হলেও মহিলারাও স্নান করতে আসছেন। তবে যানজটের কারণে তাঁরা যথাসময়ে পৌঁছতে পারছেন না। শিশুদেরও একই অবস্থা। তাঁদের বাথরুম যাওয়ার অসুবিধে হচ্ছে। খাবারও মিলছে না যথাযথ। কিন্তু উপায় নেই, তাঁদের পায়ে হেঁটেই যেতে হচ্ছে স্নানে।
এমন ছবিও সামনে আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, সঙ্গমে লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে স্নানে নামছেন। প্রশাসনের তরফে বারবার মাইকিং করা হলেও সেকথা শুনছেন না ভরক্তা। তাতে ভিড় আরও বাডৃছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী প্রয়াগরাজ স্টেশনে পৌঁছচ্ছেন। সেজন্য ওই এলাকায় সবথেকে বেশি ভিডড়। সেখানেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপদে যাওয়া আসার পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
ভিড় আরও কমাতে প্রয়াগরাজ স্টেশন থেকে অটো ও ই-রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্টেশন থেকে নেমে লোকজন পায়ে হেঁটে সঙ্গমের দিকে যাচ্ছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সঙ্গমে পৌঁছতে চুঙ্গি ফ্লাইওভার এবং আলোপীবাগ মন্দির, সোহবতিয়াবাগ, ব্যাংক রোড, ঝুনসি, নৈনি, ফাফামাউ-এ প্রচণ্ড যানজট রয়েছে। এমতাবস্থায় ২০ মিনিটের দূরত্ব অতিক্রম করতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে ভক্তদের।