আশঙ্কা ছিলই। সেই মতো প্রশাসনও তৈরি ছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না! মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মৌনি অমাবস্যায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল মহাকুম্ভে। ত্রিবেণী সঙ্গমের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন পুণ্যার্থীরা। ঠিক তখনই ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বয়ান অনুযায়ী কীভাবে এই ঘটনা ঘটল?
- রাত ১০টা থেকেই সঙ্গমে পুণ্যার্থীদের ভিড় জমতে শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন চেয়েছিল পুণ্যার্থী আসুন, স্নান করুন এবং চলে যাক। কিন্তু পুণ্যার্থীরা অমৃত স্নানের জন্য জড়ো হতে শুরু করেন। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে সকলেই অমৃত স্নানের জন্য সঙ্গমের কাছেই স্নান করতে চেয়েছিলেন।
- মৌনী অমাবস্যায় যে পুণ্যার্থীরা স্নান করতে এসেছিলেন, তাঁদের একটা অংশ ব্যারিকেডের কাছে পলিথিন শিটের উপর শুয়ে ছিল।
- ভোর ৫টা থেকে অমৃত স্নান শুরু। আখড়াগুলির অমৃত স্নানের জন্য আলাদা করে রুট তৈরি করে রেখেছিল প্রশাসন।
- মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে ভিড় জমতে শুরু করে। একটা সময় পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
- ঘাটে আসা-যাওয়ার জন্য় পরিকল্পনা করে রেখেছিল প্রশাসন। দেওয়া হয়েছিল ব্যারিকেড। রাত ১টা ৪৫ থেকে ২টোর মধ্যে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে ভিড়। ব্যারিকেড টপকে সঙ্গমের দিকে যেতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা।
- কাঠের খুঁটি ভেঙে যাওয়ার পর হুড়মুড়িয়ে এগিয়ে যেতে থাকে ভিড়। ব্যারিকেডের কাছে ঘুমন্ত পুণ্যার্থীরাও বুঝতে পারেননি অনিয়ন্ত্রিত ভিড় ধেয়ে আসছে তাঁদের দিকে। তাঁদের গায়ে গিয়ে পড়়ে মানুষের ঢল।
- এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটনার ৫ মিনিটের মধ্যে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
দুর্ঘটনার পর কী ঘটে?
ফোনে চারবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্ধার অভিযান সম্পর্কেও তথ্য নেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন, পুণ্যার্থীরা যেন সঙ্গম তটে যাওয়ার চেষ্টা না করেন। যে ঘাটে আছেন, সেখানেই যেন স্নান করেন। আগেই খবর এসেছিল যে বিশেষ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তবে কোনও ট্রেন বাতিল হয়নি বলে জানায় রেল। আখড়াগুলি প্রথমে অমৃত স্নান না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরে স্নান করার কথা জানায়। ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা।