Advertisement

Waqf Bill President's Nod: মিলল রাষ্ট্রপতির সবুজ সংকেত, আইনে পরিণত হল ওয়াকফ বিল

শনিবার ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫-এ ছাড়পত্র দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ম্যারাথন বিতর্কের পর লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এই বিল পাস হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর, বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 06 Apr 2025,
  • अपडेटेड 12:41 PM IST

শনিবার ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫-এ সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। লোকসভা ও রাজ্যসভায় দীর্ঘ বিতর্কের পর এই বিল দুই কক্ষে পাশ হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে।

একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন মুসলমান ওয়াকফ (রদ) বিল, ২০২৫-এও। কেন্দ্র সরকার অফিসিয়াল গেজেটে নোটিফিকেশন জারি করলেই নতুন ওয়াকফ আইন কার্যকর হবে।

সরকার এক নোটিফিকেশনে জানিয়েছে, ‘৫ এপ্রিল ২০২৫ রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার পর এই আইন প্রকাশিত হল: ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫।’

এই নতুন আইনের মূল লক্ষ্য দেশে ওয়াকফ সম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন উন্নত করা। ওয়াকফ অ্যাক্ট, ১৯৯৫-এ এই সংশোধন আনা হয়েছে। গত বছর অগাস্টে এই বিল প্রথম সংসদে পেশ করা হয়। তবে প্রবল বিরোধিতার মুখে বিলটি পাঠানো হয় একটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (JPC)।

এই JPC-এর নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল। দীর্ঘ আলোচনার পর ২ এপ্রিল বাজেট অধিবেশনে ফের পেশ করা হয় বিলটি।

৩ এপ্রিল ভোররাতে লোকসভায় বিলটি পাশ হয়। ২৮৮ জন সাংসদ বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ২৩২ জন বিরোধিতা করেন। রাজ্যসভায় ৪ এপ্রিল সকালে বিলটি পাশ হয়। সেখানেও ১২৮ জন পক্ষে, ৯৫ জন বিপক্ষে ভোট দেন।

বিরোধীরা এই নতুন আইনকে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই আইন মুসলিম-বিরোধী নয় বরং ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই এই পদক্ষেপ।

নতুন আইনে উল্লেখ রয়েছে, ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বাধিক চারজন অ-মুসলিম সদস্য থাকবেন, যার মধ্যে দুইজন মহিলা হবেন বাধ্যতামূলক। এছাড়া, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ না সরকারি তা ঠিক করবেন জেলা শাসকের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা।

বিরোধী দল কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং আপ এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক মামলা করেছে। কংগ্রেস সাংসদ মোহাম্মদ জাভেদ, এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ও আপ বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই আইন মুসলিমদের মৌলিক অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন।

Advertisement

এমনকি এই বিল এনডিএ শিবিরের ভিতরেও ফাটল ধরিয়েছে। বিহারে চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর পাঁচ জ্যেষ্ঠ নেতা দল ছেড়ে দিয়েছেন।

এই বিতর্কিত আইনের রাজনৈতিক প্রভাব ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয় সুপ্রিম কোর্টে এর ভবিষ্যৎ কী হয়।


খবরটি ইংরাজিতে পড়তে- Click Here

Read more!
Advertisement
Advertisement