প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর ভাষণে উঠে এল সদ্য রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কথা। সেই সঙ্গে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরকেও শ্রদ্ধা জানালেন। রাষ্ট্রপতি বলেন,'৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের প্রজাতন্ত্রের ৭৫তম বছর বিভিন্ন দিক থেকে দেশের যাত্রাপথে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অমৃত কালের প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করছে। এটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের কাল। প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের মূল্যবোধ এবং নীতিগুলি স্মরণ করার গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ।'
রাষ্ট্রপতি বলেন,'১৪০ কোটিরও বেশি ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল চেতনায় একত্রিত হয়ে এক পরিবার হিসাবে বাস করে। এই বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের জন্য সহ-অবস্থানের চেতনা ভূগোল দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া বোঝা নয়। বরং একসঙ্গে আনন্দের প্রাকৃতি প্রবাহ। যার উদযাপন হয় গণতন্ত্র দিবসে।'
রাম মন্দির নির্মাণের কথাও এসেছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। তাঁর কথায়,'অযোধ্যায় শ্রী রামের জন্মস্থানে নির্মিত বিরাট মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান আমরা সবাই দেখেছি। ভবিষ্যতে যখন এই ঘটনাকে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেখা হবে, তখন ইতিহাসবিদরা মনে রাখবেন, ভারতীয় সভ্যতার ও ঐতিহ্যের বাহক হিসেবে। এই ঘটনা (প্রাণ প্রতিষ্ঠা) যুগান্তকারী হিসেবেই আখ্যা পাবে।'
রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,'আমি বলতে চাই যে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য অবিরাম লড়াই করা কর্পুরীঠাকুরে জন্মশতবর্ষ উদযাপন হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।'
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যর কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে, 'গতবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের পর এক বছরের দিকে তাকালে আমাদের উৎফুল্ল হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। ভারতের সভাপতিত্বে দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সফল আয়োজন হয়েছে। যা দেশের জন্য অভূতপূর্ব অর্জন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে চোখে পড়েছে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রাধান্য পেয়েছে ভারতের উত্থান। যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের কণ্ঠকে আরও দৃঢ় করেছে।'