Advertisement

Priyanka Gandhi: 'বাংলার ভোট আসছে তাই বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা,' সংসদে মোদীকে কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার

সামনেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। সে কথা মাথাই রেখেই সংসদে বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা রাখা হয়েছে বলে দাবি করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুধু তাই নয় ইতিহাস নিয়ে করা মোদীর দাবির 'ভুল শুধরে' দেন সোনিয়া কন্যা।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 08 Dec 2025,
  • अपडेटेड 5:32 PM IST
  • বাংলার নির্বাচনের কারণেই সংসদে বন্দে মাতরম বিতর্ক
  • মোদীকে তীব্র কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
  • মোদীর দাবির 'ভুল শুধরে' দেন সোনিয়া কন্যা

সোমবার লোকসভায় 'বন্দে মাতরম'-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিশেষ আলোচনায় কংগ্রেসের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কারণেই সংসদে এই ইস্যুতে আলোচনা সভা রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর কথায়, 'ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকার বর্তমান সমস্যা থেকে জনগণের মনযোগ সরিয়ে অতীতে নিয়ে যেতে চায়।'

কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কে গান্ধী বলেন, 'সংসদে জাতীয় গান নিয়ে আলোচনা চলছে, যা একটি বড় আবেগ। এটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি আমাদের সাহস, শক্তি এবং নীতির কথা মনে করিয়ে দেয়। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এর সামনে মাথা নত করেছিল।'

কেন এই নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে?
প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'এই গানটি ১৫০ বছর ধরে জাতিক আত্মার অংশ। এটি দেশের মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে রয়েছে। আজ কেন এটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে জানান? এর উদ্দেশ্য কী? আসনে বাংলার নির্বাচন আসন্ন। সে কারণেই এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।'
 

প্রধানমন্ত্রীকে শুধরে দিলেন প্রিয়াঙ্কা
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ভালই দেন, যদিও একটু দীর্ঘ হয়। উনি বলেছেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৬ সালে প্রথমবার বন্দে মাতরম গানটি গান। যেটা উনি বললেন না তা হল, যেখানে গুরুদেব গান গেয়েছিলেন, সেটি ছিল কংগ্রেসের সভা।'

নেহরুকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী, জবাব প্রিয়াঙ্কার
'বন্দে মাতরম' গানটিকে ভেঙে টুকরো করেছিলেন নেহরু, এমনটাই নিজের সভায় দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জবাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, 'বন্দে মাতরমের ২টি প্যারা বাদ দেওয়া নিয়ে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাবাসাহেব আম্বেদকর থেকে শুরু করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সকলেই বন্দে মাতরমের ২টো প্যারাগ্রাফই গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নেহরুর চিঠি পড়লেন, জবাব নেতাজি কী বলেছিলেন তা কেন পড়ে শোনালেন না? নেতাজি তো গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা উল্লেখ করেছিলেন। আবার গুরুদেবও জানিয়েছিলেন, বন্দে মাতরমের প্রথম ২ প্যারার সঙ্গে আনন্দমঠে থাকা অংশের সংযোগ তেমন ভাবে নেই তাই সেটি আলাদা করে গ্রহণ করা যেতেই পারে।'

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement