Advertisement

Psycho killer Poonam: একাদশীতেই ৪ শিশুকে খুন মহিলার, 'সাইকো পুনম' কি তন্ত্রসাধনা করত?

পানিপথ জেলার সিওয়াহ গ্রামে শিশুদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত পুনম তিনটি আলাদা সময়ে চার শিশুকে হত্যা করেছে, এবং প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে একাদশীর দিন। এর ফলে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে ঘটনাগুলির পেছনে কোনও তান্ত্রিক রীতি বা গুপ্ত আচারের যোগ থাকতে পারে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 04 Dec 2025,
  • अपडेटेड 7:05 PM IST
  • পানিপথ জেলার সিওয়াহ গ্রামে শিশুদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়।
  • পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত পুনম তিনটি আলাদা সময়ে চার শিশুকে হত্যা করেছে, এবং প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে একাদশীর দিন।

পানিপথ জেলার সিওয়াহ গ্রামে শিশুদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত পুনম তিনটি আলাদা সময়ে চার শিশুকে হত্যা করেছে, এবং প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে একাদশীর দিন। এর ফলে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে ঘটনাগুলির পেছনে কোনও তান্ত্রিক রীতি বা গুপ্ত আচারের যোগ থাকতে পারে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তিনটি হত্যার পদ্ধতিই ছিল একই রকম, যা কোনওভাবেই স্বাভাবিক বা আকস্মিক বলে মনে হয় না।

জিয়ার মৃত্যুর পর ফাঁস হতে থাকে রহস্য
সম্প্রতি জিয়া নামে এক কিশোরীর মৃত্যুতে পরিবারের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। নিহত জিয়ার কাকা সুরেন্দ্র জানান। পুনম তাঁর খুড়তুতো বোন এবং ১৮ আগস্ট সিওয়াহ গ্রামে আসে। সেদিন রাতে সে জিয়ার সঙ্গে একই ঘরে ঘুমিয়েছিল। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবার জিয়াকে খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে জিয়ার দেহ উদ্ধার হয়। এই মৃত্যুই পুরো পরিবারকে স্তব্ধ করে দেয়।

হত্যার সন্দেহে কান্না ও আত্মহত্যার হুমকি
সুরেন্দ্র জানান, ঘটনাটির পর থেকেই পুনমকে সন্দেহ করতে থাকেন তিনি। একসময় তিনি সরাসরি পুনমকে জিজ্ঞাসা করেন। তখন পুনম কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং আত্মহত্যার হুমকি দেয়। পরিবারের সদস্যরা সামাজিক লজ্জা ও চাপের কারণে পুলিশে অভিযোগ করেননি। তাদের ধারণা, এটি হয়তো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এবং আর কিছু ঘটবে না। কিন্তু এই নীরবতাই পরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

একই দিনে, একই পদ্ধতি, তান্ত্রিক রীতির সম্ভাবনা?
ঘটনাগুলো মিলিয়ে সুরেন্দ্র দেখেন, তিনটি শিশুহত্যাই ঘটেছে একাদশী তিথিতে, এবং তিনটির পদ্ধতি ছিল একদম একই। তাঁর দাবি, এটি শুধুই কাকতালীয় হতে পারে না। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে পুনম কোনও তান্ত্রিক আচারের অংশ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডগুলি ঘটিয়েছিল। তিনটি শিশুর মৃত্যুই ছিল অস্বাভাবিক এবং পরিকল্পিত।

গর্ভবতী হওয়ায় দীর্ঘ বিরতি
পরিবারের বক্তব্য, প্রথম হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় দেড় বছর পুনম কোনও অপরাধ করেনি, কারণ তিনি তখন গর্ভবতী ছিল। পরিবারের সন্দেহ, সে যদি ওই সময় সন্তানসম্ভবা না হত, আরও শিশু তার শিকার হতে পারত।

Advertisement

কঠোরতম শাস্তির দাবি: মৃত্যুদণ্ড ছাড়া ন্যায় মিলবে না
পুনমের চাচাতো ভাই সুরেন্দ্র প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, এটি কোনও সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়, বরং ধারাবাহিক শিশু হত্যা। তাঁর মতে, পুনমের জন্য যাবজ্জীবন বা ১০-২০ বছরের সাজাও যথেষ্ট নয়। কারণ, যদি পুনম কখনও জামিন বা প্যারোলে মুক্তি পায়, ভবিষ্যতে সে আবারও শিশুদের ক্ষতি করতে পারেন। তাই এই ধরনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র ন্যায়সঙ্গত শাস্তি বলে দাবি পরিবারের।

পরিবারের নীরবতার মাশুল
পরিবার স্বীকার করেছে, প্রথম ঘটনার পরই যদি পুলিশে অভিযোগ করা হতো, পরবর্তী হত্যাগুলি এড়ানো যেত। কিন্তু সামাজিক ভাবমূর্তি রক্ষার প্রবণতা এবং ভয়ের কারণে তারা চুপ থেকেছিলেন। এখন সেই একটাই ভুল পুরো পরিবারকে দগ্ধ করছে।

গ্রামে আতঙ্ক, তান্ত্রিক যোগসূত্রের গুজব
ঘটনাটি গ্রামজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত—এই হত্যাগুলি কি সত্যিই কোনও গুপ্তচর্চা বা তান্ত্রিক রীতির অংশ? তদন্ত চলতে থাকায় আরও নতুন তথ্য সামনে আসছে, এবং অভিভাবকদের মধ্যে ভীষণ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। শিশুরা কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পুলিশের গভীর তদন্ত
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি কি তান্ত্রিক রীতি? নাকি মানসিক অস্থিরতার ফল? নাকি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ধারাবাহিক অপরাধ প্রাথমিকভাবে পরিবার দাবি করলেও পুলিশ এখনও নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।

গ্রামবাসীর দাবি, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা
গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। তাদের বক্তব্য, শিশুহত্যার মতো নৃশংস অপরাধে কোনও ধরনের সহনশীলতা চলতে পারে না।

সত্য উন্মোচনের অপেক্ষায় সবাই
তদন্ত যত এগোচ্ছে, নতুন তথ্য সামনে আসছে। পরিবার, গ্রামবাসী এবং প্রশাসন, সবাই আশা করছে সত্য দ্রুত প্রকাশ পাবে এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে আর কোনও শিশুর জীবন বিপন্ন না হয়।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement