Advertisement

পুলওয়ামা হামলায় বিস্ফোরক অনলাইনে কেনা হয়েছিল? গ্লোবাল রিপোর্টে তীব্র উদ্বেগ FATF-এর

অনলাইন পেমেন্ট এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম জঙ্গি কার্যকলাপের অন্যতম বড় হাতিয়ার হয়ে উঠছে, এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে FATF উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি বড় জঙ্গি হামলার পিছনে অনলাইন মাধ্যমের ভূমিকা ছিল গভীর ও বিপজ্জনক।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 09 Jul 2025,
  • अपडेटेड 2:40 PM IST
  • অনলাইন পেমেন্ট এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম জঙ্গি কার্যকলাপের অন্যতম বড় হাতিয়ার হয়ে উঠছে, এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)।
  • সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে FATF উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি বড় জঙ্গি হামলার পিছনে অনলাইন মাধ্যমের ভূমিকা ছিল গভীর ও বিপজ্জনক।

অনলাইন পেমেন্ট এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম জঙ্গি কার্যকলাপের অন্যতম বড় হাতিয়ার হয়ে উঠছে, এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে FATF উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি বড় জঙ্গি হামলার পিছনে অনলাইন মাধ্যমের ভূমিকা ছিল গভীর ও বিপজ্জনক।

বিশেষ করে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গে FATF জানায়, সেই হামলায় ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেমন অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, অ্যামাজনের মতো একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনা হয়েছিল। এই বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছিল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED)-এ, যার ফলশ্রুতিতে প্রাণ হারান ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। হামলার পিছনে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের (JeM) হাত ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

FATF আরও জানিয়েছে, হামলার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যমে সহজেই মজুতকৃত রসদ কেনা এবং অর্থ স্থানান্তর এক বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। ঘটনায় জড়িত সাতজন বিদেশিসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন বা UAPA-র অধীনে মামলা রুজু হয়েছে।

একইসঙ্গে FATF রিপোর্টে ২০২২ সালের গোরক্ষনাথ মন্দিরে ISIS অনুপ্রাণিত এক হামলাকারীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি পেপ্যাল-এর মাধ্যমে বিদেশে প্রায় ৬.৭ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন, বিভিন্ন VPN ব্যবহার করে নিজের অবস্থান গোপন করেন এবং ৪৪টি আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পন্ন করেন। এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে বোঝা যায় কীভাবে অনলাইন পেমেন্ট চ্যানেলগুলি সন্ত্রাসে ব্যবহৃত হচ্ছে।

FATF-এর মতে, পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) পেমেন্ট সিস্টেম, ভিপিএন, এবং ছদ্মনামে খোলা অ্যাকাউন্টগুলি সরকারের নজরদারি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করছে। এই কারণে জঙ্গিরা সহজেই তহবিল জোগাড়, অস্ত্র বা বিস্ফোরক কেনা এবং হামলার পরিকল্পনা করছে।

FATF আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, কিছু দেশ এখনও সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সহায়তা করছে। যদিও সরাসরি কোনও দেশের নাম তারা উল্লেখ করেনি, তবে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের দেওয়া প্রমাণ এবং তথ্য থেকে রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষিত সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

এই প্রেক্ষিতে ভারত ফের একবার পাকিস্তানকে FATF-এর ‘ধূসর তালিকায়’ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে। FATF-এর এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দেশগুলিকে ই-কমার্স, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং ভিপিএন প্ল্যাটফর্মগুলির উপর আরও কঠোর নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি FATF জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগামে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে সংঘটিত জঙ্গি হামলারও তীব্র নিন্দা করেছে, যেখানে ২৬ জন প্রাণ হারান। FATF জানিয়েছে, এ ধরনের হামলা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিপুল অর্থসাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়।
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement