পুনের বাস ডিপোতে ২৬ বছরের তরুণীর ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে মহারাষ্ট্রের শিরুর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বড় তল্লাশি অভিযানের পর অভিযুক্ত তদন্তকারীদের নাগালে আসে।
অভিযুক্তের নাম দত্তাত্রয় রামদাস গাড়ে (৩৭)। শিরুরের একটি খামারে লুকিয়ে ছিল ওই ব্যক্তি। পুনে পুলিশের ১৩টি টিম বৃহস্পতিবার থেকে তাকে খুঁজছিল। গভীর রাতে রামদাস এক ব্যক্তির বাড়িতে খেতে গিয়েছিল। সেই ব্যক্তিই পুলিশকে খবর দেন। এরপরই পুলিশ রামদাস গাড়েকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার সকাল ৫.৪৫ নাগাদ স্বরগেট ডিপোতে সাতারা যাওয়ার বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই মহিলা। গাড়ে তাঁকে ভুল তথ্য দিয়ে অন্য একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যান। সেখানে পার্ক করা একটি ফাঁকা ‘শিব শাহী’ এসি বাসে তাঁকে নিয়ে যান। বাসের ভেতরে আলো নেভানো থাকায় মহিলা ঢুকতে দ্বিধা বোধ করছিলেন। তবে গাড়ে তাঁকে বোঝান যে এটাই সঠিক বাস। বাসে ওঠার পরেই গাড়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় পুনে জুড়ে প্রবল ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়। রাজনৈতিক নেতারা তো বটেই, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুনের গুনাট গ্রামের বাসিন্দা এই রামদাস গাড়ে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। পুনে এবং আহিল্যানগর জেলায় চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৯ সাল থেকে একটি মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিল সে।
ধর্ষণের ঘটনার পর, গত দুই দিন ধরে সে পলাতক ছিল। রাজ্যজুড়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তার সন্ধান দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি তথ্য দেওয়ার জন্য একটি হটলাইন নম্বরও চালু করা হয়।
শুক্রবার পুনে সিটি এবং পুনে রুরাল পুলিশ গুনাট গ্রামে তল্লাশি চালায়। আখের খেত, ড্রোন এবং ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করে তল্লাশি চলে। গ্রামে ১০০-র বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুনের স্বরগেট মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (MSRTC)-এর অন্যতম বৃহত্তম বাস ডিপো। লক্ষ-লক্ষ যাত্রীর যাতায়াতের মাধ্যম এটি। সেখানে এমন ঘটনায় পুনেতে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।