পুরীতে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি এদিন স্নানযাত্রার রীতিতে অংশ নেন। সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দিরটিতে।
এদিন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার বিগ্রহগুলি স্নান মণ্ডপে নিয়ে আসা হয়। তারপরই শুরু হয় পাহন্ডি রীতি। গ্র্যান্ড রোডের সামনে মাটি থেকে কিছুটা উচ্চতায় এই স্নান মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিগ্রহগুলির স্নানযাত্রা দেখতে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়।
শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক বলেন, 'মন্দির থেকে প্রথমে বের করে আনা হয় শ্রী সুদর্শন। বুধবার স্নানযাত্রা শুরুর আগে রত্নবেদিতে প্রথমে জগন্নাথ,তারপর বলরাম ও শেষে সুভদ্রাকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। ভোর পৌনে ৬টার সময়ে নিয়ে আসা হয় ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ। সকাল ৯টা বাজতে পাঁচ মিনিট আগে পাহন্ডি প্রথা শেষ হয়।' জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে ১০৮ কলসি জল ঢেলে স্নান করানো হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে স্নানবেদিতে জগন্নাথদেবকে দর্শন করলে সব পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এদিনের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরীর সাংসদ সম্বিত পাত্র। উত্তর দ্বার দিয়ে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি। সকালে পুজো দেন তিনি। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথদেব।
প্রথাগত বিশ্বাস অনুসারে প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে ১০৮ কলসি জলে স্নান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। এই সময় তাঁদের ১৫ দিনের জন্য নিভৃতবাসে রাখা হয়। রাজবৈদ্যের তত্ত্বাবধানে তাঁদের বিশেষ ও ওষুধ ও পথ্য চলতে থাকে। সাধারণ ভক্তদের জন্য এই সময় জগন্নাথদেবের দর্শন বন্ধ থাকে। ১৫ দিনের ঘরবন্দি দশা কাটিয়ে, সুস্থ হয়ে উঠে আগামী ২৭ জুন মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা।