পুরীর রথে আবারও দুর্ঘটনা। রথ থেকে ভগবান বলরামের মূর্তি পড়ে বিপত্তি। চাপা পড়ে আহত ৮ জন। মঙ্গলবার ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার পরে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন ভগবান বলভদ্রের মূর্তি সিঁড়ি থেকে নামাতে গিয়ে সেবাইতদের ওপর পড়ে যায়। কমপক্ষে আটজন আহত হন বলে এখনও পর্যন্ত খবর। মঙ্গলবার সন্ধেয় তিনটি রথ থেকে গুন্ডিচা মন্দিরের আড়াপা মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে, 'পাহান্ডি' শুরু হয়, যেখানে জগন্নাথ-শুভদ্রা-বলরামের মূর্তি মৃদুভাবে দোলান সেবাইতরা। এভাবে তারা আড়াপা মণ্ডপে নিয়ে যান। সেখানে যখন তারা তাঁর রথ, তালধ্বজ থেকে ভগবান বলভদ্রের মূর্তিটি নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন মূর্তিটি রথের অস্থায়ী ঢালু জায়গায় পিছলে গিয়ে তাদের ওপর পড়ে।
গত ৭ জুলাই রথের দিন ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। একাধিক ভক্ত আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রথ টানার সময় দুর্ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হন। জানা যায়, সেদিনও বলভদ্রের রথ টানার সময় এই ঘটনা ঘটে। প্রথমে এই রথটিই টানা হচ্ছিল।
সেদিন জগন্নাথ, বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার রথের দর্শন করেছিলেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং তাঁর শিষ্যরা। পুরীর রাজা 'ছেরা পাহাড়া' (রথ পরিষ্কার করার) আচার পালন করেন। পরে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রথ টানার কাজ শুরু হয়। রথের মধ্যে কাঠের ঘোড়া স্থাপন করা হয়। সেবায়েতরা রথটিকে সঠিক দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তিনটি রথকে 'প্রদক্ষিণ' করেন। দেবতাদের প্রণাম করেন। মনে করা হচ্ছে, প্রায় ১০ লক্ষ ভক্ত রথের উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। ভক্তদের বেশিরভাগই ওড়িশা এবং প্রতিবেশী রাজ্যের।
সেদিনের পর এইদিন আরও একবার দুর্ঘটনা। আগামী ১৬ জুলাই পড়েছে উল্টো রথ। আপাতত গুন্ডিচাতেই বিশ্রাম করবেন জগন্নাথ দেব, শুভদ্রা এবং বলভদ্র।