Advertisement

Ram Mandir Program: 'আমি ওখানে তালি বাজাবো?' অযোধ্যায় যাচ্ছেন না পুরীর শঙ্করাচার্য

পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী বলেছেন, আজ সব প্রধান ধর্মীয় স্থানকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। এভাবে তাদের সঙ্গে ভোগ-বিলাসের জিনিস যোগ করা হচ্ছে, যা ঠিক নয়।

অযোধ্যায় না যাওয়ার ঘোষণা পুরীর শঙ্করাচার্যের
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 04 Jan 2024,
  • अपडेटेड 11:46 AM IST


আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান, যার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ  সরকার এবং অযোধ্যা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানকে জমকালো করতে কঠোর পরিশ্রম করছে। রাম মন্দিরের প্রথম তলা প্রস্তুত এবং সাজানো হচ্ছে। শ্রী রাম জন্মভূতি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে গর্ভগৃহে সিংহাসনে রামলালার মূর্তি স্থাপন করবেন এমন সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওড়িশার জগন্নাথপুরী মঠের শঙ্করাচার্য  স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী।  বুধবার রাতলামে বক্তব্য রাখেন তিনি। তিনি বলেন যে, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রাণ প্রতিস্থা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অযোধ্যায় যাবেন না। রতলামের ত্রিবেণীর তীরে হিন্দু জাগরণ সম্মেলনে বক্তৃতা করতে আসা শঙ্করাচার্য  নিশ্চলানন্দ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, 'মোদীজি যদি উদ্বোধন করেন এবং মূর্তি স্পর্শ করেন, আমি কি সেখানে হাততালি দিয়ে উল্লাস করব? আমার পদেরও মর্যাদা আছে। রাম মন্দিরে মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা  শাস্ত্র অনুযায়ী করতে হবে, এমন অনুষ্ঠানে কেন যাব?

‘যে ধরনের রাজনীতি হচ্ছে তা যেন না হয়’
রামমন্দির ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত আমন্ত্রণ সম্পর্কে শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ  সরস্বতী বলেন, 'আমি যে আমন্ত্রণ পেয়েছি তাতে লেখা আছে আপনি এবং আপনার সঙ্গে শুধুমাত্র একজনই অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনোভাবেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি, যার কারণে আমি অনুষ্ঠানে যাব না। তিনি বলেন, রাম মন্দির নিয়ে যে ধরনের রাজনীতি করা হচ্ছে তা যেন না হয়। এই সময়ে রাজনীতিতে কিছু ঠিক নেই। পুরীর শঙ্করাচার্য  ধর্মীয় স্থানগুলিতে করিডোর তৈরির সমালোচনাও করেন। 

'সব প্রধান ধর্মীয় স্থানকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে'
স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী বলেন, আজ সব প্রধান ধর্মীয় স্থানকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। এভাবে তাদের সঙ্গে ভোগ-বিলাসের জিনিস যোগ করা হচ্ছে, যা ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের মানুষ যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাদের পূর্বপুরুষরা হিন্দু ছিলেন। প্রসঙ্গত, স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী  হলেন পুরীর পুরম্নয়া শ্রী গোবর্ধন পীঠের বর্তমানে ১৪৫ তম জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য। স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ১৯৪৩ সালে বিহারের মধুবনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দারভাঙ্গার মহারাজার রাজ পুরোহিতের ছেলে।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement