Advertisement

Trump Tariff On India: ট্যারিফে ভারতের স্বস্তি? পুতিনের সঙ্গে মিটিং সেরে ট্রাম্প যা বললেন...

পুতিনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কি ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আদৌ আলোচনা করেছেন ট্রাম্প? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা যেন দায়সারা ভাবেই ট্রাম্প জানাল, এখন তিনি এসব নিয়ে আর বেশি ভাবতে চান না। সেক্ষেত্রে কতটা প্রভাব পড়বে ভারতের উপর?

Aajtak Bangla
  • আলাস্কা ,
  • 16 Aug 2025,
  • अपडेटेड 10:46 AM IST
  • ভারতের উপর কি আরও ট্যারিফ বসাবেন ট্রাম্প?
  • পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বড় ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
  • কতটা স্বস্তিতে ভারত?

শুক্রবার আলাস্কায় সম্পন্ন হল বহুচর্চিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক। তবে বৈঠক নিষ্ফলা। ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। তবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। আর তাতেই লাভবান হয়েছে ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কিনছে যে দেশগুলি, তাদের উপর এখনই নতুন করে কোনও শুল্ক চাপাবেন না তিনি। ২-৩ সপ্তাহের পর আবার এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন। ফলস্বরূপ আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি ভারতের। 

ফক্স নিউজ সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, 'আজ যা হল, তাতে ট্যারিফ নিয়ে আর এই মুহুর্তে ভাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ২-৩ সপ্তাহ বাদে আবার এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করব। এখন আর বেশি ভাবছি না।'

এর আগে অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, 'ভারতের উপর শুল্ক চাপানো কাজে দিয়েছে। সব কিছুরই একটা প্রভাব থাকে। এই শুল্ক চাপানোর ফলেই সম্ভবত পুতিন বৈঠকের জন্য রাজি হয়েছেন। যখন কেউ নিজের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতাকে হারাচ্ছে, তখন সবচেয়ে বড় ক্রেতাকেও হারানোর সম্ভাবনা থাকে। আমার মতে, সম্ভবত এই বিষয়টিই কাজ করেছে।'

প্রসঙ্গত, ভারতকে ৫০ শতাংশ ট্যারিফ দিতেই হবে। এর কোনও নড়চড় আপাতত হচ্ছে না। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্যই ২৫ শতাংশের উপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান ছিল, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে, তাহলে ভারতও লাভবান হবে। 

আমেরিকার যুক্তি হলো, ভারতের মতো বড় দেশগুলো রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করে দিলেই পুতিন জব্দ হবেন। কারণ এর ফলে মস্কোর রাজস্ব কমবে। তখন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনও পথ থাকবে না রাশিয়ার। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ভাগ্যকে অদৃশ্য সুতোয় বেঁধে ফেলেছে ইউক্রেন। মোদী সরকারকে এখন ব্যালান্স করেই চলতে হবে। যদিও বৈঠক শেষে ট্রাম্পের ইঙ্গিতে আপাতত ব্যানান্স বিগড়ে যাবে না বলেই মত আন্তর্জাতিক মহলের। 
 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement